গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থী, এজেন্ট ও কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা এবং ভোট কারচুপির অভিযোগ করা হয়েছে। দিনভর ভোট গ্রহণের সময় ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া, গ্রেফতার, প্রার্থীর ওপর হামলা, ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাঁধা দেয়া, জোর করে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করা, বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধর করাসহ নানা অভিযোগ করেছে বিএনপি।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোট গ্রহণ শেষে দক্ষিণ সিটির নির্বাচনে কেন্দ্র ভিত্তিক এসব অভিযোগ তুলে ধরেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানান, ১৪নং ওয়ার্ডে জরিনা শিকদার হাইস্কুল ভোট কেন্দ্রের গেট থেকে ধানের শীষের এজেন্ট মোঃ রাজিব হোসেন ও আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৮নং ওয়ার্ডে গভ: ল্যাবরেটরী হাইস্কুল কেন্দ্র থেকে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারীসহ এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় আওয়ামীলীগ। সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারীর ভাই ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সহ-সভাপতি হুমায়ুন পাটোয়ারী এবং তার মেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ২নং ওয়ার্ডে বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল, গোড়ান প্রি-ক্যাডেট স্কুল, সানরাইজ স্কুল, গোড়ান প্রাইমারি স্কুল, গোড়ান আদর্শ স্কুল, বদিনাতুল উলুম মাদরাসা, শান্তিপুর স্কুল ও গোল্ডেন হেভেন স্কুল ভোট কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দেয় এবং সানি, সাজ্জাত ও নজরুলের উপর হামলা করে। ২০নং ওয়ার্ডে সেগুনবাগিচা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের কোন এজেন্টই ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। একজনের গায়ে গরম পানি ঢেলে দেয়া হয়। এজেন্ট শাহবুদ্দিনকে বেধরক পেটানো হয়। বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ রফিকুল ইসলাম স্বপন এবং ধানের শীষ এজেন্টদের সেগুনবাগিচা হাইস্কুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল, আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় এবং বেগম রহিমা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষ এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি এবং বিএনপি কর্মী খলিলুর রহমানকে মারধর করে গুরুতর আহত হয়।৬৮নং ওয়ার্ডে এমএ সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ে সকল এজেন্টসহ কাউন্সিলর প্রার্থীকে বের করে দেয়। ছাত্রলীগ, যুবলীগ কর্মীরা ভোট কেন্দ্রে ঢুকে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য কর।
৪০নং ওয়ার্ডে মিতালী স্কুল, দয়াগঞ্জ স্কুল, সাধু জোসেফ কারিগরী স্কুল, নারিন্দা স্কুলসহ মোট ৭টি কেন্দ্রের ধানের শীষের সকল এজেন্টদের বের করে দিয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতকার্মীরা নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য কর। মাদারটেক আব্দুল আজিজ স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি কাউন্সিল প্রার্থী ও নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন আওয়ামী লীগ কর্মীরা কেড়ে নেয় এবং সাংবাদিকদের উপর হামলা করে। এছাড়াও শাহ সাহেব লেনে সেন্ট জোসেফ টেকনিক্যাল স্কুল কেন্দ্রে কিরন নামে একজন ভোটার জানান তাদের ভোট হয়ে গেছে। ভোট দিতে গিয়ে তারা ফেরত এসেছে। গোপীবাগ মিতালী স্কুল থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের মারধর করে রক্তাক্ত করে এবং কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। ১৩নং ওয়ার্ডে পল্টন কমিনিটি সেন্টার কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এস এম আব্বাসসহ তার লোকজনকে মারধর করে বের করে দেয়, পুরানা পল্টন মহিলা কেন্দ্রে বিএনপি’র কাউন্সিলর প্রার্থীকে অস্ত্রের মুখে বের করে দেয়। পুরানা পল্টন নিধুর সিটি কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। শান্তিনগর আইডিয়াল কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। ৪৯নং ওয়ার্ডে নারিন্দা মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামী সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা বিএনপি’র পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়। ৬নং ওয়ার্ডে ১৩২ চিলড্রেন হোমস কেন্দ্রে থেকে ধানের শীষ পোলিং এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। কাফরুল মেগডোন স্কুলে ধানের শীষের কোন এজেন্টকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান রাব্বির এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়। ২২নং ওয়ার্ডে সালেহা হাইস্কুল কেন্দ্র, নবাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৫নং ওয়ার্ডের জামিলা খাতুন, জগোমহন, রহমতুল্লাহ গালর্স ও বয়েজ স্কুল কেন্দ্রে, ৩৫নং ওয়ার্ডের গোয়ালনগর আজিজিয়া স্কুল ও শহীদ জিয়া স্কুল কেন্দ্রে, ৩৭নং ওয়ার্ডে বুলবুল ললিত কলা একাডেমী, ৪৩নং ওয়ার্ডে নর্থব্রুক হল কেন্দ্র, ফরাজগঞ্জ স্পোটিং ক্লাব কেন্দ্র ও ময়েজ উদ্দিন চৌ: মেমোরিয়াল হল, ৪৪নং ওয়ার্ডে সূত্রাপুর কমিনিটি সেন্টার, শিশু কল্যাণ ও পথকোলি স্কুল কেন্দ্র, বেগমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৯নং ওয়ার্ডে সেন্ট্রাল ওমেন্স কলেজ, ৪১নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ মৌসুন্ডী স্কুল, ৪২নং ওয়ার্ডে সরকারী সোহরাওয়াদী কলেজ কেন্দ্র, সরকারী কবি নজরুল কলেজ, ৪৮নং ওয়ার্ডে যাত্রাবাড়ী শহীদ মহিলা স্কুল কেন্দ্র, শিশু কল্যাণ চৌধুরী আহলে হাদিস কেন্দ্র, ৫৩নং ওয়ার্ডে কবি নজরুল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, ডলফিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, আশরাফ মাষ্টার উচ্চ বিদ্যালয়, ১৩নং ওয়ার্ডে আনন্দ কমিউনিটি সেন্টার কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়।
২৬নং ওয়ার্ডে লালবাগ থানাধীন আজিমপুর ভিকারুননেছা স্কুল কেন্দ্রে ছাত্রলীগ ও যুব লীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা করে চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এ বিষয়ে কেন্দ্রে অবস্তানরত পুলিশকে অবহিত করা ও লালবগ জনের পুলিশের ডিসিকে টেলিফোনে অবগত করা হয়। তারপরও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এরপরও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা লিটল এ্যাঞ্জেল স্কুল কেন্দ্রেও তারা হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে ও নেতাকর্মীদের মারধর করে। ঐ এলাকার বিএনপি’র কাউন্সিলর প্রার্থী মীর আশরাফ আলী আজমসহ ২ জন নেতা গুরুতর আহত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।