পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রকোপ আরও বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে সংশ্লিষ্টদের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে গণহারে আবেদন করা শুরু করেছেন। বিশেষ করে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম পরিচালনায় যারা থাকবেন তারাও চরম শঙ্কিত। দোটানায় নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরাও চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। নগরবাসীর ভয়-আতঙ্ক আর দুশ্চিন্তারও শেষ নেই।
এ অবস্থায় ভোট পেছানোর ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন সবাই। মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা পরিস্থিতি বুঝে ভোটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান। তবে গতকাল বুধবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানান চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, আমরাও সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। তবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও এগিয়ে চলছে।
আগামী ২৯ মার্চ চসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। ৭৩৫ ভোটকেন্দ্রে ৪ হাজার ৮৮৬ বুথে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। প্রতিটি বুথে একটি করে ইভিএম স্থাপন করা হবে। প্রতি ইভিএমে ভোট দেবেন গড়ে ৪০০ জন ভোটার। সিটি নির্বাচনে এবার ভোটারের সংখ্যা ২৯ লাখ ৫১ হাজার। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চট্টগ্রামে এখনও করোনা সংক্রমণের কোন ঘটনা না ঘটলেও চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এ অঞ্চল।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের জন্য চট্টগ্রাম ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে ভোটের প্রচারে সাবধানতা অবলম্বনের নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনিসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ভোটের প্রচারে জনসমাবেশ থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া ইভিএম মেশিনের মাধ্যমেও সংক্রমণের ঝুঁকির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কোন কেন্দ্রে ভাইরাস আক্রান্ত কেউ গেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের এমন আশঙ্কার মধ্যে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি প্রার্থী ও তাদের সমর্থক এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাদের কয়েকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, তারা এ অবস্থায় ভোটগ্রহণের সাথে সংশ্লিষ্ট হতে চান না। কয়েকজন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বলেন, সরকার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেখানে নিরাপত্তার জন্য জনসমাগম এড়িয়ে চলতে বলছেন, সেখানে নির্বাচন কমিশন লাখ লাখ মানুষকে চরম ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিতে পারে না। নির্বাচন কমিশনের একগুয়েমির কাছে নতি স্বীকার করে নিজের জীবনের ঝুঁকিও নিতে চান না বলে জানান তারা। ৭০ লাখ মানুষের এ মহানগরীতে ভোটের কোন আমেজ নেই। শ্রেণি পেশা নির্বিশেষে মানুষ ব্যস্ত করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায়।
কী বলে যুবলীগ
ইভিএমে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কার কথা জানিয়ে চসিক নির্বাচনে মেশিনের বদলে ব্যালট পেপারে ভোট নেয়ার দাবি জানালেন নগর যুবলীগের নেতারা। গতকাল নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে নৌকার মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর পক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান তারা।
নগর যুবলীগের ফরিদ মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন করতে ডিজিটাল প্রচারণার পরিকল্পনা করছি আমরা। যুবলীগ নেতা মহিউদ্দীন বাচ্চু বলেন, রেজাউল করিম চৌধুরীর পক্ষে আমরা যুবলীগ নেতাকর্মীরা কাজ করছি। ভোটগ্রহণে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কার কারণে ইভিএম পদ্ধতি বাদ দিয়ে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের প্রস্তাব দেন তিনি। বদিউল আলম বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে যদি নির্বাচন কমিশন চসিক নির্বাচন স্থগিত করে তাহলে সে সিদ্ধান্ত মেনে আমরা কাজ করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।