পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাহাড়সম অভিযোগ উঠেছে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে ক্ষেপেছেন করপোরেশনের বেশিরভাগ কাউন্সিলর।
এনিয়ে দফায় দফায় গোপন বৈঠক করেছেন। তারা জোট বেধেছেন মেয়র আরিফের অপসারণের দাবিতে। স্বেচ্ছাচারিতা, উন্নয়ন কাজে নিজস্ব ঠিকাদারের সাথে আঁতাত, অনিয়ম, নাগরিক অধিকার লঙ্গন করে উন্নয়ন কাজের নামে দুভোর্গসহ একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তারের ঘটনায় তার উপর দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা। এরই ধারাবাহিতকতায় মেয়র আরিফের অপরসারপত্রে স্বাক্ষর করেছেন তারা। স্বাক্ষরিত ফাইল এখন মন্ত্রণালয়ের টেবিলে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার দুপুরে তাদের স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্র সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
কাউন্সিলরদের পক্ষে সিসিকের কাউন্সিলর তৌফিক বকস লিপন স্বাক্ষরিত অভিযোগের অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, স্থানীয় সরকার সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও মেয়রের একান্ত সচিব বরাবরে। মেয়রের অপসারণ দাবিতে লিখিত অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মো. তারেক উদ্দিন তাজ, এ কে এম লায়েক, আজাদুর রহমান আজাদ, শান্তনু দত্ত শন্তু, তাকবিরুল ইসলাম পিন্টু, নজরুল ইসলাম মুনিম, আব্দুল মুহিত জাবেদ, সৈয়দ তৌহিদুল হাদী, আব্দুরন রকিব তুহিন, ছয়ফুল আমিন বাকের, ফরহাদ চৌধুরী শামীম, মোস্তাক আহমদ, মখলিছুর রহমান কামরান, এসএম শওকত আমিন তৌহিদ, ইলিয়াছুর রহমান, রকিবুল ইসলাম ঝলক, সিকন্দর আলী, সংরক্ষিত কাউন্সিলর মাসুদা সুলতানা, নাজনীন আক্তার কনা, রেবেকা আক্তার লাকি।
অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সাধারণ সভায় উপস্থাপন ও আলোচনা না করে বর্তমান পরিষদকে উপেক্ষা করে পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই দক্ষিণ সুরমা এলাকার তেঁতলী ইউনিয়নের বানেশ্বরপুর মৌজায় জায়গা অধিগ্রহণ করেছেন। তাছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশনের জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করে বড় অংকের উৎকোচ নিয়ে নিজস্ব লোক বিভিন্ন শাখায় লোক নিয়োগ করেছেন। বিভিন্ন এলাকায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থেকে বিল পাওয়ার ক্ষেত্রে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার মাধ্যমে কমিশন বাণিজ্য করেন, এমনকি ঠিকাদারদের সাথে লিয়াঁজো রক্ষায় নিজস্ব একাধিক ঠিকাদার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করেন গোপনে তিনি।
এ বিষয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, কাউন্সিলরদের অভিযোগের বিষয়টি এখনো তার নজরে আসেনি। ব্যক্তিগত স্বার্থে অনৈতিক সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হওয়ায় কাউন্সিলররা এমন ঘটনা ঘটিয়ে তাকে বিব্রত করার চেষ্টা করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।