পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বিতর্কিতদের অনেকেই মনোনয়ন পেয়েছেন উল্লেখ করে সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, তারা এখনই বিতর্কিত। জনপ্রতিনিধি হয়ে তারা জনগণের কী কল্যাণ করবেন। গতকাল সোমবার নগরীর জামালখানের একটি কনভেনশন সেন্টারে যুবলীগের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা আমার কাছে এবং আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা, আমাদের প্রিয় মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছেও প্রশ্ন করেছেন- এই প্রার্থীগুলো (কাউন্সিলর) কিভাবে মনোনয়ন পেলেন? আসলে তো আমরা কোনো কিছু জানি না। এ কাউন্সিলর প্রার্থী কারা মনোনয়ন দিয়েছেন, এটা কি আমরা জানি? আমাদের জানামতে চট্টগ্রামের কেউ এই মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত নন। তাহলে যারা এদের জন্য সুপারিশ করেছে, তারা কারা?
মেয়র বলেন, তারা তো জনপ্রতিনিধি হতে যাচ্ছেন, বিগত দিনে তাদের কী কর্মকান্ড ছিল? এখনও তারা তো বিতর্কিত। তাহলে তারা কিভাবে মনোনয়ন পেলেন? আমি এই কথাগুলো বলতে চাই না। আমি যদি কথা বলি, এই কথার সূত্র ধরে অন্য কথা হয়ত অনেকে বলার চেষ্টা করবেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন, তারা কী জেনেশুনে করেছেন? নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তারা এ কাজগুলো করেছেন। তারা যে কাজ করেছেন এর দ্বারা কি সংগঠনের কল্যাণ হবে? মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে?
এতকিছুর পরও দলের মনোনয়ন মেনে নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ড যে মনোনয়ন প্রদান করেছেন সেটাই আমার শিরোধার্য এবং সেটা নিয়ে কাজ করছি, কাজ করব। কাজ করে প্রমাণ করে দেব আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শতভাগ অনুগত এবং জাতির জনকের আর্দশ অন্তরে ধারণ করি। আ জ ম নাছির বলেন, আমি হঠাৎ চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হইনি। ১৯৬৯ সালে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে আন্দোলনে শরিক হয়েছি।
১৯৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যার পর চট্টগ্রাম কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্র, তখন পাঁচজনকে নিয়ে মিছিলের চেষ্টা করেছি। আমি যে আজকে বেঁচে আছি আল্লাহর রহমত, প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার অবদান। অনেকবার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। চট্টগ্রামের মাটি থেকে বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল ফারুক-রশিদকে উৎখাত করেছি, ফ্রিডম পার্টি, জামায়াত-শিবিরকে উৎখাত করেছি। আমি আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে সেগুলো হয়েছে। এটিই তো নিষ্ঠুর বাস্তবতা, কেউ কি অস্বীকার করতে পারে?
এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের কথাও স্মরণ করেন আ জ ম নাছির। অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস পরশ, শেখ ফজলে নাঈম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।