বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রথম সমাবর্তনে প্রদানকৃত মূল সনদপত্রে ভুলের ছড়াছড়ি। শিক্ষার্থীদের নাম, সেশন, আবাসিক হলের নামসহ একাধিক ভুল পাওয়া গেছে। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশ^বিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রæপে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনের অযোগ্যতা ও আনাড়ি লোকবল নিয়োগের পরিচয় দিয়েছেন বলে মনে করছেন গ্র্যাজুয়েটরা।
জানা যায়, লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সকল গ্র্যাজুয়েটদের বিভাগের নামে ভুল পাওয়া গেছে। বিভাগের নাম চঁনষরপ অফসরহরংঃৎধঃরড়হ এর জায়গায় চধনষরপ অফসরহরংঃৎধঃরড়হ লেখা রয়েছে। এই বিভাগের ৮ম ব্যাচের সবার সার্টিফিকেটে একই ভুল পাওয়া গেছে। এদিকে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অন্তর্ভুক্ত একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের নামের বানানে ‘একাউন্টিং ও এন্ড’ শব্দ দু’টির মাঝে কোনো জায়গা না রেখে একসাথে লেখা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের ইংরেজি নামের বানান ঘধধিন ঋড়ুুঁহহবংধ ঈযড়ফিযঁৎধহু ঐধষষ কিন্তু মূল সনদে লেখা হয়েছে ঘধধিন ঋধরুঁহহরংংধ ঈযধঁফযঁৎধহর ঐধষষ। শহীদ ধীরেন্দনাথ দত্ত হলের ইংরেজি নামের বানান দুইটি সনদে দুই ধরনের লেখা হয়েছে।
ফেসবুক গ্রুপে হ্যাশট্যাগ শাওন নামেন এক শিক্ষার্থী লিখেন, প্রশাসনিক কার্যক্রম কি করে হবে। পাবলিক পারেনা পাবলিক বিশ^দ্যিালয়ে চাকরি করে। লিমা আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মূল সনদে এমন ভুল আমাদের জন্য হতাশার। প্রশাসনকে অবশ্যই দায় নিতে হবে।’
এ বিষয়ে সনদ তৈরি ও বিতরণ উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, ‘প্রভিশনাল সার্টিফিকেটের তথ্য অনুযায়ী মূল সনদ তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যার প্রভিশনাল (সাময়িক) সনদে যেমনটা লেখা ছিল সে অনুযায়ী মূল সনদ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া প্রিন্টে ভুল হতে পারে। ভুল হওয়া সনদ ও সাময়িক সনদ নিয়ে আসলে আমরা এটা ঠিক করে দিব।’
কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, মূল সনদে ভুল হওয়ার বিষয়টি মাত্র জানতে পারলাম। ভুল হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। আমরা অনেকবার যাচাই করেছি। সে সময় নাম ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বারে গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা রোববার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, যে সনদপত্রে ভুল হয়েছে সেগুলো কোনো ফি ব্যতীতই পরিবর্তন করে দেয়া হবে। একসাথে প্রায় ছয়-সাত হাজার সনদ তৈরি করতে গিয়ে হয়তো এমন ভুলগুলো হয়েছে।
প্রয়োজন হলে সবারগুলোই পরিবর্তন করে দেয়া হবে। তবে মনে হয় না সবার সনদে এমন ভুল হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে ২ হাজার ৮৮৮ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করেন প্রেসিডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।