বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হাফছা আক্তার, শিশু কন্যাটি মাত্র ১১ মাস বয়সের। সে বান্দরবান লামা পৌরসভা চেয়ারম্যান পাড়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। ঠান্ডা জনিত রোগে ভর্তি করা হয়েছিল বান্দরবান জেলার লামা সরকারি হাসপাতালে। ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারণে শিশুটি এখন মৃত্যু পথযাত্রী। যে কোন সময় অঘটন ঘটে যেতে পারে। শিশুটির পিতা হাবিবুর রহমান বুক ফাটা আর্তনাদ নিয়ে তার অসহায় শিশু কন্যাকে কিভাবে ডাক্তার এবং নার্স কর্তৃক ভুল চিকিৎসা দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন তার বিশদ বর্ণনা দেন।
তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, গত ৯ অক্টোবর বান্দরবান জেলার লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার ১১ মাসের শিশু কন্যা হাফছাকে নিমোনিয়ার কারণে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত নার্স ইনজেকশন দেয়ার জন্য শিশুটির ডান হাতে কেনোলা পড়ায়। কেনোলার সুইচ রগ বা শিরায় দেয়ার কথা থাকলেও তা মাংসপেশীতে দেয়ার পর ইনজেকশন পুশ করা হয়। এর ফলে শিশুটির অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে। ইনজেকশন টি শিরায় চলাচল করতে না পারায় শিশুর ডান হাতটি সম্পূর্ণ কালো হয়ে যায়। শিশু কন্যার বাবা আরো জানান, অনভিজ্ঞ নার্স দিয়ে শিরার পরিবর্তে মাংসপেশীতে ইনজেকশন দেয়ার কারণে তার মেয়ের এ পরিণতি হয়েছে। ডাক্তারের কাছে এ ব্যাপারে সুরাহা চাইলে কোন ধরনের সহযোগিতা করেনি বলে তিনি জানান। সে সাথে গত ১৩ অক্টোবর লামা সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির চিকিৎসা না দিয়ে তাকে রিলিজ দেয়। অসহায় পিতা পরে শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক। শিশু কন্যার বাবা বিষয়টি সুষ্ট তদন্ত পূর্বক বিচারের আওতায় আনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হস্থক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে বান্দরবান জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার অং শৈ প্রুর সাথে গত ৫ দিন আগে কথা হলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন তদন্ত কমিটি গঠিত হয়নি বলে জানা গেছে। এছাড়া বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরিজি, আলীকদম সেনা জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মঞ্জুরুল আহসান জানান, এ ব্যাপারে সুষ্ট তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচালক ডাঃ মহিউদ্দিন জানান, এ ঘটনাটি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। তিনি এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।