Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আপনি কি পাকিস্তানের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর : মমতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে আলোচনায় বসতে তিনি প্রস্তুত। তবে তার আগে এই আইন প্রত্যাহার করতে হবে। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তরকালে মমতা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রকে আগে এই দানবীয় আইন বাতিল করতে হবে। এরপর আমরা আলোচনা করতে প্রস্তুত। কারণ তারা প্রথম আইন তৈরি করেছে তারপর বলছে এই ইস্যুতে আলোচনা করতে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং প্রস্তাবিত এনআরসি (জাতীয় নাগরিক তালিকা)’র প্রতিবাদে মঙ্গলবার আরো অনেক শিল্পীর সঙ্গে হাতে তুলি তুলে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। অন্যান্য শিল্পীদের সঙ্গে তাকেও ছবি আঁকতে দেখা গেল। মুখ্যমন্ত্রী সবার কাছে আর্জি জানান, সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে শান্তিপ‚র্ণ প্রতিবাদ করার জন্য। তিনি কোনভাবেই রাজ্যে এই আইন কার্যকরী করতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন। মেয়ো রোডে মহাত্মা গান্ধির ম‚র্তির পাদদেশে ওই ছবি আঁকেন মুখ্যমন্ত্রী। এক তৃণম‚ল নেতা জানিয়েছেন, ওই ছবি নানা গ্যালারিতে প্রদর্শিত হবে। তিনি বলেন, এই ছবি সিএএ-র বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদের অঙ্গ। প্রখ্যাত শিল্পী শুভপ্রসন্নও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। তিনি বলেন, এনআরসি, এনপিআর ও সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকে দেশ-বিরোধী আখ্যায়িত করা বিজেপি’র একটি বাতিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বিক্ষোভকারীদের দেশ-বিরোধী বলছে। তারা এমনকি দিল্লি নির্বাচনকে ভারত-পাকিস্তান টি২০ ম্যাচের সঙ্গেও তুলনা করছে। মমতা বলেন, আপনি কেন পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলছেন? কেন সবকিছুতে পাকিস্তানকে টেনে আনেন? আপনি কি পাকিস্তানের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর? তিনি বলেন, আমরা ভারতীয় এবং বাঙ্গালী ও ভারতীয় হিসেবে থাকতে গর্ববোধ করি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই কেউ দেশ বিরোধী হয়ে যাবে না। নিজের রাজ্যে সিএএ, এনআরসি বা এনপিআর বাস্তবায়ন করা হবে না বলে আবারো ঘোষণা দেন তিনি। গত ডিসেম্বরে ওই আইন পাশ হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে বিরোধ শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রতিবাদে সামিল হন। এ পর্যন্ত সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে ১১টি প্রতিবাদ মিছিল ও সাতটি জনসভা করেছেন তিনি। কেরালা, পাঞ্জাব ও রাজস্তানের পর গত সোমবার চতুর্থ রাজ্য হিসেবে সিএএ-বিরোধী প্রস্তাব পাস করে পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভা। এই রাজ্য গত ৬ সেপ্টেম্বর এনআরসি বিরোধী প্রস্তাবও পাস করেছিলো। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, ফার্সি, জৈন ও বৌদ্ধ শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, এসব স¤প্রদায়ের শরণার্থীদের বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখা হবে না। তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সমালোচকদের মতে, এই আইন মুসলিমদের জন্য বৈষম্যম‚লক এবং এটি সংবিধানের বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবম‚র্তির পরিপন্থী। এসএএম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুখ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ