মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাঞ্জাবে ক্ষমতায় এলে মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডারের আদলে প্রকল্প আনবে আপ। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। এই প্রকল্পের অধীনে প্রত্যেক নারীকেই প্রতি মাসে ১ হাজার রুপি করে দেয়া হবে।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পাঞ্জাব বিধানসভার নির্বাচন। সেই ভোটের আগে পাঞ্জাব সফরে যেয়ে নারী ক্ষমতায় নিয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেন কেজরীওয়াল। বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘যদি পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টি সরকার গঠন করতে পারে, তাহলে পাঞ্জাবের ১৮ ঊর্ধ্ব প্রত্যেক মহিলাকে মাসে ১০০০ রুপি করে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটি পরিবারের যদি তিন জন মহিলা সদস্য থাকেন, তাহলে তিনজনের অ্যাকাউন্টে আলাদা আলাদা করে ১০০০ রুপি দেয়া হবে। যে বয়স্ক মায়েরা বার্ধক্য ভাতা পান, তাদের বার্ধক্য ভাতার সঙ্গেও ১০০০ রুপি করে দেয়া হবে।’ পাঞ্জাব বা ভারত নয়, এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মহিলা ক্ষমতায়নের কর্মসূচি হবে বলে তিনি দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের ইস্তাহারে লক্ষ্মীর ভান্ডার নামে একটি প্রকল্প চালু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই এ কর্মসূচি চালু করতে উদ্যোগী হয় তার নেতৃত্বাধীন সরকার। দুয়ারে সরকার প্রকল্পকে কাজে লাগিয়ে মহিলাদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেপ্টেম্বর মাস থেকে বাংলার মহিলাদের রুপি দেয়ার কাজ শুরু করেছে রাজ্য।
তবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে মহিলাদের ৫০০ এবং তফসিলি জাতি ও জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলাদের ১০০০ রুপি করে প্রতিমাসে দেয়া হচ্ছে। ভোটের আগে এই প্রকল্পের নামকরণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তার এই প্রকল্পের এখনও পর্যন্ত কোনও নামকরণ করেননি। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, মমতার সেই প্রকল্পের ধাঁচে সেই প্রকল্প এনে পাঞ্জাব দখলের ছক তৈরি করেছে অরবিন্দের আপ। তবে এ ক্ষেত্রে সবাইকেই ১০০০ রুপি করে দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, তৃতীয় বার পশ্চিমবঙ্গ দখলে মমতার পরামর্শদাতা ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। আর অরবিন্দের জন্য তৃতীয়বার দিল্লি দখলের ক্ষেত্রেও পরমর্শদাতার ভুমিকায় ছিলেন তিনিই। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।