পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১৫টি পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ করায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএকে ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদফতর। গতকাল বুধবার অধিদফতরের ঢাকা কার্যালয়ে শুনানি শেষে সরকারি এ সংস্থাকে জরিমানা করা হয়। পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয়ের পরিচালক মোয়াজ্জম হোসাইন ইনকিলাবকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে দেয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিডিএকে এ জরিমানা করা হয়েছে।
অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, পাহাড় কেটে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস, পাহাড়ের উপরিভাগের মাটি এবং ভূমির বাইন্ডি ক্যাপাসিটি নষ্টসহ পরিবেশ-প্রতিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করায় এই জরিমানা করা হয়।
গত ২৫ জানুয়ারি পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল ইসলাম প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে অনুমোদনের বাইরে পাহাড় কাটার প্রমাণ পান। ওইদিন তিনি সিডিএকে ঢাকায় শুনানিতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
রাস্তা নির্মাণের জন অনুমোদনের বাইরে বেশি পাহাড় কাটার প্রমাণ পাওয়ায় তাদেরকে ঢাকায় ডাকা হয়। এর ভিত্তিতে শুনানি শেষে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। প্রকল্প প্রস্তাবনায় যত ঘনফুট পাহাড় কাটার অনুমোদন তারা নিয়েছিল বাস্তবে তার থেকে ৬৯ হাজার ২১৯ দশমিক ৭০২ বর্গফুট বেশি কেটেছে। যে এঙ্গেলে কাটার কথা ছিল সেভাবে না কেটে ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলে খাড়াভাবে কেটেছে। ফলে যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসে মানুষের জীবনহানি ঘটতে পারে।
নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত একটি সড়ক নির্মাণ করে সিডিএ। ওই সড়ক নির্মাণের জন্য কেটে ফেলা হয়েছে ১৫টি পাহাড়। পাহাড় কাটার শুরুতে পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষ থেকে সিডিএকে নোটিশ দেয়া হয়। ওই নোটিশের জবাব দেয়ার প্রয়োজনও মনে করেননি সংস্থার কর্তা-ব্যক্তিরা। পরিবেশ অধিদফতরের নোটিশ আর বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যায় পাহাড় কেটে সড়ক নির্মাণ কাজ।
পরিবেশ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, উত্তর পাহাড়তলী মৌজার ৭৭৩-৭৭৪, ৩০১, ২০০, ১৯৮, ১৩৯, ১৯৫, ১৮৭ জঙ্গল সলিমপুর মৌজার ৩৬১, ৩৫৯, ৩৫৭-৩৫৮ এবং জঙ্গল লতিফপুর মৌজার ৬২, ৬০-৬২ ও ৩৪নং দাগের পাহাড় কেটে এ সড়ক তৈরি করেছে সিডিএ। প্রকল্প চলাকালে পরিবেশ অধিদফতর এটি নিয়ে একটি সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরি করে। এ প্রতিবেদনে তখন বিভিন্ন মৌজার ৩৫৭, ৩৫৮ ও ৩৫৯ দাগের পাহাড় কাটার প্রমাণ পায়।
উল্লেখ্য, বিগত ২০০৭ সালে পাহাড় ধসে একদিনেই ১২৯ জনের প্রাণহানির পর পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে একটি বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির প্রতিবেদনেও পাহাড় কাটার জন্য সিডিএকে দায়ী করা হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।