মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
১৯৩৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে পঙ্গপালের এক বিশাল স্রোত নির্মূল করতে চলন্ত ট্রেন থেকে আগুন নিক্ষেপ করেছিল সেনাবাহিনী। তবে তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। পঙ্গপাল সব বাধা অতিক্রম করে জমির সব ফসল খেয়ে ফেলে।
৮০ বছরের বেশি সময় পরেও, ভয়ঙ্কর পঙ্গপালের ঝাঁক নিয়ন্ত্রণ করার কোন কার্যকরী উপায় পাওয়া যায়নি। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ ঘোষণা করেছিল যে, পঙ্গপালের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক প্রজাতি ‘মরু পোকা’ পূর্ব আফ্রিকায় আক্রমণ করেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে, পোকামাকড়গুলো সংখ্যা ৫০০ গুণ বৃদ্ধি করতে পারে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭০ বছরের মধ্যে কেনিয়াতে কখনো পঙ্গপালের এত বিশাল ঝাঁক দেখা যায়নি।
খালি চোখে ঘাসফড়িংয়ের মতো দেখতে পঙ্গপালের একেকটি ঝাঁক, প্রায় ৪৬০ বর্গ মাইল জমি জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। হাজার হাজার বছর ধরে এরা টিকে আছে। ব্রিটিশরা আফ্রিকা এবং মধ্য প্রাচ্যে কীটপতঙ্গদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই একটি পঙ্গপাল ইউনিট গঠন করেছিল। ১৯৭৬ সালে নিউইয়র্ক টাইমসের এক সাংবাদিক বলেছিলেন, ‘আকাশ ঢেকে ফেলা’ এবং ‘ফসলের জমি মুছে দেয়া’ পঙ্গপালের ঝাঁক হয়তো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্মূল করা সম্ভব হতে পারে। তবে এখনও পঙ্গপালের অত্যাচার অব্যাহত রয়েছে।
বর্তমানে এই সমস্যার বিরুদ্ধে যা করা যায় তা হলো পূর্বাভাস দেয়া যে, কখন কোথায় এর প্রকোপ দেখা দিতে পারে। এ বিসয়ে অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির গেøাবাল লোকোস্ট ইনিশিয়েটিভের গবেষণা সমন্বয়কারী রিক ওভারসন বলেন, ‘পঙ্গপাল ছোট থাকতেই ধ্বংস করতে হয়। কারণ বড় হলে যখন এগুলোর ডানা শক্তিশালী হয়, তখন আর মারার উপায় থাকে না।’ তিনি বলেন, ‘এগুলো প্রচুর উড়তে পারে। তারা এক সপ্তাহের মধ্যে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যতে পঙ্গপালের আক্রমণ আরও তীব্র হতে পারে। আগামী কয়েক মাসে, পূর্ব আফ্রিকার পঙ্গপালগুলো তাদের খাদ্য শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত গাছপালা এবং ফসলি জমিতে আক্রমণ চালিয়ে যাবে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর প্রায় ২০ শতাংশ ভূমি পঙ্গপালের আক্রমণের শিকার হয়। বিশ্বের দরিদ্রতম ৬৫ টিরও বেশি দেশে এর প্রকোপ দেখা যায় এবং বিশ্বের জনসংখ্যার দশ ভাগের এক ভাগের জীবিকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, পঙ্গপাল পুরোপুরি ধ্বংস করা সম্ভব নয়। সর্বোপরি, সম্ভব হলেও সেটি উচিত হবে না। কারণ, এটি প্রকৃতির অংশ। এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। বর্তমানে শুধু এগুলো ধ্বংস না করে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
যদিও পঙ্গপাল প্রচুর ক্ষতি করে, তবুও এগুলো নিয়ন্ত্রণে গবেষণার জন্য তহবিলের অভাব রয়েছে। এর একটি কারণ হল, পঙ্গপাল কয়েক বছর পর পর হঠাৎ আক্রমণ করে, ফলে অন্যসময় এগুলো নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামানো হয় না। এর চেয়ে বড় কথা, পঙ্গপালের ঝাঁক সাধারণত ধনী দেশগুলোতে দেখা যায় না। এটি দরিদ্র লোকদের উপর প্রভাব ফেলছে। সুতরাং ধনী দেশগুলির আগ্রহের অভাব রয়েছে। সূত্র : নিউজ রিপাবলিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।