রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে, পাশাপাশি বাম্পার ফলনের সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। অন্য ফসলের তুলনায় খরচ কম এবং লাভজনক হওয়ায় গত মৌসুমের তুলনায় এ বছর সরিষা চাষে ঝুঁকছেন কৃষক।
গত বছরের বোরো ধান এবং আমন ধান অনেক কৃষকের ঘরে মজুদ থাকায় বিকল্প ফসল হিসেবে সরিষা চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়েছেন তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্র জানা যায়, চলতি ২০১৯-২০ রবি মৌসুমে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ১২০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর এ বছর সরিষা চাষ হয়েছে ১৫৫ হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮০ থেকে ১৮৫ টন সরিষা। গত মৌসুমের তুলনায় ১০৩ হেক্টর জমিতে সরিষা বেশি চাষ হয়েছে।
উপজেলার মাধবপুর কলেজপাড়া এলাকার কৃষক আলফু মিয়া, নজির আহাম্মেদ, রামনগর এলাকার তোফাজ্জল, আবুল কাশেমসহ একাধিক কৃষক জানান, ইদানীং ধানচাষ করে লোকসানে পড়ার কারণে তারা আগাম জাতের সরিষা চাষ করেছে। এ ছাড়াও সরিষা উৎপাদনে সার কম প্রয়োগ করতে হয় এবং সেচ, কীটনাশক ও নিড়ানীর প্রয়োজন হয় না। খরচ কম ও স্বল্প সময়ে এ ফসল চাষ হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাহবুবুল হাসান জানান, গত ২০১৮-১৯ মৌসুমে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় সরিষ চাষ কম হয়েছিল। তাবে বাম্পার ফল হওয়ায় কৃষকরা উৎসাহিত হয়ে এ বছর সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর সরিষ চাষ তিনগুণ বেশি হয়েছে। এবারো আবহাওয়া অনুকূল থাকলে সরিষার বাম্পার ফলন হবে। তিনি আরো জানান, চলিত মৌসুমে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় থেকে উচ্চফলনশীল জাতের সরিষা চাষ করার জন্য ১৬ জন কৃষকের মাঝে সরিষা প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ফলোআপ হিসেবে ১৫০ জন কৃষকের মাঝে বারি সরিষা-১৪ এবং বিনা সরিষা-৯ সরিষা বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। আবার অনেক কৃষকরা নিজ উদ্যোগে টরি-৭ সরিষা চাষ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।