রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
শীত এলেই উত্তরাঞ্চলের মতো মীরসরাইয়ে ও হলুদ চাঁদরে আবৃত হচ্ছে কোন কোন গ্রামের তেপান্তর। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে সরিষা আবাদ। সঠিক উদ্যোগ, প্রচারনা এবং কৃষি বিভাগের তৎপরতায় অভাবে প্রত্যাশার তুলনায় আশানুরুপ বৃদ্ধি পাচ্ছে সরিষা আবাদ। অথচ মীরসরাইতে প্রাকৃতিক প্রাচুর্যে সমৃদ্ধ উপযোগী সরিষা ফলনের ব্যাপক মাঠ রয়েছে। উপকূল থেকে পাহাড়ি ঢালুসহ মধ্যবর্তি বিস্তীর্ণ জনপদে সহজ ফলন নিয়মের প্রচারনা পেলেই পতিত জমিগুলো ভরে উঠতে পারে হলুদের উৎসবে।
ইতোমধ্যে অনেক গ্রামে সবুজ, বেগুনী, সাদা, সোনালী নানা মৌসুমী ফলনের পাশাপশি হলুদের হাসি যেন অন্য সকল সুন্দরকে হার মানিয়ে মাঠজুড়ে আলোর হাসি হয়ে উঠেছে।
উপজেলার সোনাপাহাড়, ইছাখালী, হিঙ্গুলী, করেরহাট, ধূম, আমবাড়িয়া গ্রামের পাহাড়ি এলাকা সংলগ্ন অনেক জমিতেই এখন বেড়েছে সরিষার চাষ। মাঘ মাসের ঠিক এই সময়ে মাঠে ঘাটে তেপান্তরে সরিষা ফোটার ধুম পড়েছে। এখানকার মাঠগুলো এখনো মাঠ জুড়ে সরিষা আবাদ না হলে ও যেই মাঠেই সরিষা ফুটেছে, সেই মাঠই যেন সরিষার হাসিতে কৃষকদের ও হাসি লেগে থাকে। হলুদের চাঁদরে ঘাড় সোনালী আভায় গোটা প্রান্তর হয়ে উঠেছে প্রাণবন্ত আলোকময়।
সরেজমিনে উপজেলার সোনাপাহাড় ও হিঙ্গুলী গ্রামের সরিষা ক্ষেত সোনালী আলোতে ঝলমল করছে। সোনাপাহাড়ে গত বছর দেখা যায় কয়েকটি জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পায়নি সরিষা চাষ। আমবাড়িয়া গ্রামের কয়েকটি ফসলের মাঠে গত বছর ও মশুর, হেলোইন, বাউলা, মোটরসুটি ও ধনেপাতার পাশাপাশি একই ক্ষেতে কিছু সরিষা ও চাষ করতে দেখা গেছে। এবার আর তা চোখে পড়ছে না।
কৃষি বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, দেশে এখন ১৫ জাতের সরিষার ফলন হচ্ছে। মীরসরাইতে চাষ হওয়া সরিষা হেক্টরে ১ হাজার ৬শ’ কেজি থেকে ২ হাজার কেজি উৎপাদন হবে। এ সরিষা আবাদ সম্প্রসারিত হলে দেশে সরিষার আমদানি নির্ভরতা কমবে। প্রতি কেজি সরিষা থেকে ৫০০ গ্রাম তেল পাওয়া যায়। এ সরিষা আবাদের মাত্র ৯০ দিনের মাথায় ক্ষেত থেকে কাটা যায়। তারপর ক্ষেতে ইরি-বোর আবাদ করা যায়। বারি সরিষা আবাদ করে কৃষক বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বিশাল মুনাফা করতে পারবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে উক্ত তথ্য জানানো হয়।
মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা এই সরিষা আবাদের জন্য উপযোগি। মীরসরাইয়ের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ জানায়, মীরসরাই উপজেলায়ও তেল, ডাল ও ধান জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের অগ্রগতিতে মীরসরাইতে সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করনোর উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।