পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শস্যভান্ডার খ্যাত উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে আমন ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ এখন প্রায় শেষের পথে। কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, প্রায় ৮ ভাগ আমন ধান কাটা মাড়াইয়ের পর চলছে আলু, সবজি, বোরো ধানের বীজতলা তৈরীর কাজ। পাশাপাশি জনপ্রিয় ভোজ্য তেল সরিষা আবাদের দিকে ঝুঁকছেন উত্তরের চাষিরা।
বোরো ধানের আবাদি জমিতে বর্তমানে চলছে ৬০ থেকে ৭৫ দিনের ফসল সরিষার আবাদ। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ১৬ জেলার মধ্যে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলাকে নিয়ে গঠিত কৃষি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয় সরিষার।
দেশে ভোজ্য তেল মানেই সয়াবিন তেল। কিন্তু স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময় থেকেই সরিষার তেলকেই সবাই ভোজ্য তেল হিসাবে বুঝত। স্বাধীনতার পর আমদানি করা সয়াবিন তেল হয়ে ওঠে প্রধানতম ভোজ্য তেল। বিগত কয়েকবছর ধরে উত্তরাঞ্চলে ফের বাড়তে শুরু করেছে সরিষার আবাদ। এই মুহূর্তে বগুড়া, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার গ্রামে গ্রামে জমিতে হাসছে সবুজ পাতার সরিষার গাছে হলুদ ফুল!
বগুড়ার আঞ্চলিক কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি বছরে বগুড়া কৃষি অঞ্চলের ৪ জেলায় এক লাখ ২১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ এবং ১৬ লাখ ৯ হাজার ২১৩ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদনের টার্গেট ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জে সর্বাধিক ৫১ হাজার ৫০০, পাবনায় ৩১ হাজার ৬০০, বগুড়ায় ২৭ হাজার ১০০ এবং জয়পুরহাটে এক হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের টার্গেট ধরা হয়েছে।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দুলাল হোসেন গতকাল ইনকিলাবকে জানিয়েছেন, বগুড়ার ১২ উপজেলায় ইতোমধ্যেই ২৩ হাজার ২৬২ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। ধীরে ধীরে হলুদ সরিষা ফুলে ছেয়ে যাচ্ছে পুরো ক্ষেত। বাতাসে ছড়াচ্ছে সরিষা ফুলের সুবাশ। তিনি ধারণা করছেন, চাষিদের আগ্রহের ফলে বগুড়ায় এবার সরিষার আবাদ কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।