পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশি দেশ। দেশটি জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনআরসি) পরিকল্পনা নিয়েছে। বাংলাদেশ এনআরসি ইস্যুটিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে। এই ইস্যুতে বাংলদেশের ওপর কোনো অযাচিত প্রভাব পড়বে না; সে নিশ্চয়তা ভারতের সর্বোচ্চ মহল থেকে দেওয়া হয়েছে। তারপরও বাংলাদেশ ভারতের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান অনিস্বীকার্য। ভারতের সাথে আমাদের প্রতিবেশিসুলভ সুসম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে। স¤প্রতি ভারত সরকার তাদের নিজস্ব পলিসি অনুযায়ী বিভিন্ন প্রদেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনআরসি) পরিকল্পনা নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ভারতের সংশোধিত এই পরিকল্পনাগুলোকে দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে মনে করে। একইভাবে বিলটিকে ঘিরে গড়ে ওঠা বির্তককে ভারতের ঘরোয়া রাজনীতির অংশ হিসেবে দেখা যেতে পারে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ভারত সরকার তার রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার সময় প্রতিবেশি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সাথে তাদের দৃঢ় পারস্পরিক বিশ্বাস, সৌহার্দ্য ও বোঝাপড়ার প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দেবে। তারপরও বাংলাদেশ এ ব্যাপারে ভারতের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এনআরসি ইস্যুটিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে। এনআরসি ইস্যুতে বাংলদেশের ওপর কোনো অযাচিত প্রভাব পড়বে না; সে নিশ্চয়তা ভারতের সর্বোচ্চ মহল থেকে বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেশকিছু বছর ধরে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অভাবনীয় সাফল্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বিশেষ করে উত্তরোত্তর জিডিপি বৃদ্ধি অর্জন করে যাচ্ছে। তাই বাংলাদেশি কোনো নাগরিককের ভারতে অবৈধ অভিবাসনের যৌক্তিকতা আছে বলে প্রতিয়মান হয় না।
তিনি বলেন, সীমান্তে অবৈধ গমনাগমন, চোরাচালান প্রতিরোধসহ সীমান্তবর্তী অপরাধ দমনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সব সময় সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। তারা সীমান্ত সংক্রান্ত অপরাধসহ যেকোনো ধরনের বেআইনি কর্মকান্ড প্রতিরোধে সদা সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থায় রয়েছেন। উদ্বেগজনক কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সীমান্ত ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সীমান্তে নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে যাতে ভারত থেকে কেউ বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে বিজিবি টহল জোরদারসহ গোয়েন্দা ও সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছে। সেইসঙ্গে সীমান্তের আট কিলোমিটারের বাইরেও প্রয়োজনে টাস্কফোর্স এর মাধ্যমে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত রক্ষা তথা চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্তে ৬৯৭টি বিওপি নির্মাণ করা হয়েছে। বিওপিগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে নজরদারি বাড়ানোর লক্ষ্যে এ পর্যন্ত ১২৮টি বর্ডার সেন্ট্রি পোস্ট (বিএসপি) তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে স্থানীয় জনগণের মাঝে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিজিবি কাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।