পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে অপহৃত দুই ছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সাথে এ ঘটনার সাথে জড়িত আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সবাই অপহরণ চক্রের সদস্য। তবে ওই অপহরণকারীদের আইনী সেবা দিতেন ভিকটিমের বাবা। গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল বাতেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. ফকর উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান রাসেল, মো. রশিদুজ্জামান ওরফে তুষার, মো. শফিকুল ইসলাম, এইচ এম মশিউর রহমান ওরফে পাপ্পু, ইমতিয়াজ আহমেদ, আরিফুল ইসলাম ওরফে নিশান ও মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান। গত শনিবার রাতে রাজধানীর ডেমরা, মোহাম্মদপুর ও মতিঝিল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া মো. তানজিম আল-ইসলাম দিবস ও খালিদ হাসান ধব্রুকে উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল বাতেন জানান, কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলামের ছেলে মো. তানজিম আল ইসলাম দিবস ও তার শ্যালক খালিদ হাসান ধব্রুকে গত ২১ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে অপহরণ করা হয়। অপহৃত তানজিম রাজধানীর ধানমন্ডির ভার্টিক্যাল হরিজন (ভিএইচ) ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ‘এ’ লেভেল এবং খালিদ ঢাকা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।
গত মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজধানীর জিগাতলার বাসা থেকে মহাখালী ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে যান তানজিম। দুপুর দুইটায় দিকে তার বোনের সাথে সর্বশেষ কথা হয়। তিনি বলেন মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডে কাজ শেষে মামা খালিদ হাসান ধব্রুকে নিয়ে বাসায় ফিরবেন। কিন্তু তারা আর বাসায় ফিরেন নাই। পরে তানজিমের বাবা ও বোন কয়েক দফায় তার মোবাইল ফোনে কল করে সেটি বন্ধ পায়। এক পর্যায়ে গত বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে অপরিচিত এক লোজ তানজিমের মাকে ফোন দিয়ে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানায়। এরপর তানজিমের মামা মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
তিনি আরো জানান, অপহরণকারী ওই চক্রের সদস্যরা নৌকা কোড ব্যবহার করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং গত শুক্রবার বিকেলে ৫টার মধ্যে টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার কথা বলে। তবে মুক্তিপণ না দিলে ভিকটিমদের হত্যা করার হুমকিও দেয় তারা। পরে পুলিশ ওই চক্রের সদস্যদে গ্রেফতারে অভিযানে নামে। গত শনিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সাথে জড়িত আট জনকে গ্রেফতার করা হয় এবং অপহৃত দুই ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারদের কাছ থেকে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, তিনটি মোটরসাইকেল, ম্যাগজিনসহ একটি পিস্তল, ৫টি ডিএমপির ডিবি পুলিশের পোশাক, ডিএমপির পুলিশ সার্জেন্ট এর র্যাঙ্কব্যাজসহ একটি ইউনিফর্ম শার্ট এবং পুলিশ কনস্টেবল পদমর্যদার একটি শার্ট, সাতটি ষ্টিলের লাঠি, তিনটি কালো রংয়ের ছোট বড় ওয়ারলেস সেট, চারটি পিস্তল সদৃশ্য লাইটার, পাঁচটি সিরিঞ্জ, ২০টি ইনজেকশন, এক সেট সেনাবাহিনীর পোশাক তৈরির থান কাপড়, ১৫টি বিভিন্ন কোম্পানীর মোবাইল সেট সিমসহ এবং এ্যাপেল কোম্পানীর একটি আইপ্যাড উদ্ধার করা হয়।
আব্দুল বাতেন আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার অপহরণকারী চক্রের সদস্য। তারা ইতিপূর্বে অনেকবার গ্রেফতার হয়েছে। তবে তাদের পক্ষে হয়ে ভিকটিম তানজিমের বাবা আইনী সেবা দিয়েছেন। আর সেই সুবাদে অপহরণকারীরা ভিকটিমের পরিবার সম্পর্কে বিস্তর ধারনা রয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা তানজিম ও তার মামা ধব্রুকে অপহরণ করে এবং মুক্তিপণ দাবি করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।