গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আওয়ামী ওলামা লীগের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যাঙ্গচিত্র প্রতিযোগীতার ঘোষণা দেয়ায় নেদারল্যান্ডের কুখ্যাত এমপি গিয়ার্ট উইল্ডার্সের ফাঁসি দিতে হবে। তারা বলেন, নদীর তীরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধণের নামে মসজিদ ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত বাতিলসহ দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজীমুক্ত সুশীল সমাজ গঠনের জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। গতকাল সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটির চত্ত্বরসহ সেগুনবাগিচা নূর মসজিদের সামনে এবং পল্টন মোড়ে পৃথক পৃথক মানববন্ধনে তারা এসব কথা বলেন। নেতৃবৃন্দ রমজান মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা বাতিলের দাবী জানিয়ে উপজাতী, পাহাড়ী, দরিদ্র এলাকা এবং সর্বশেষ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পর খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তরের অপতৎপরতা এখন শুরু হয়েছে সী-বিচসমূহে সার্ফিংয়ের মাধ্যমে। এসব মিশনারী অপতৎপরতা সরকারকে অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩টি ইসলামী দলের নেতাকর্মীরা।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি- বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মাওলানা আখতার হুসাইন বুখারী। সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক- হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, লায়ন আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, হাজী হাবীবুল্লাহ রূপগঞ্জি প্রমূখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে পুনরায় ব্যঙ্গচিত্র আকার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে নেদারল্যান্ডের গার্ট ওয়াইল্ডার্স। গার্ড ওয়াইল্ডার্স এমন ধৃষ্ঠতা দেখিয়ে বিশ্ব মুসলিমের হৃদয়ে চরম আঘাত হেনেছে। এ অপরাধে তার মৃত্যুদ- কার্যকর করতে হবে। তার সমর্থনকারী নেদারল্যা- সরকারসহ অন্যান্য দেশগুলোকে এ বিষয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার জন্য বর্তমান সরকারকে জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সৌন্দর্য বর্ধন ও উন্নয়নের নামে ঢাকার চারপাশে নদীরপাড়ে ৭৭ টিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৩১টি মসজিদ মাদ্রাসাসমূহ ভেঙে দেয়ার কথা হচ্ছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার এ ধরণের সিদ্ধান্ত চরম কুরআন, হাদীছ ও ইসলাম বিরোধী। ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী কোথাও একবার মসজিদ প্রতিষ্ঠার পর নামায শুরু হলে সেই মসজিদ ভাঙ্গার অধিকার কারো নেই। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক মসজিদসমূহকে উত্তমরূপে সংরক্ষণের তাগিদ দিয়েছেন। কাজেই, মসজিদ ভাঙ্গার মতো ইসলাম বিরোধী সিদ্ধান্ত নিলে দেশের মুসলমানগণ তা বরদাস্ত করবেনা।
সংবিধানের ২(ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রত্যেক মুসলমানকে ইসলামী আদর্শে উজ্জিবিত থাকার অধিকার দেয়া হয়েছে। অথচ সে অধিকার থেকে দেশের মুসলমানদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ফলে সমাজের সর্বস্তরে মাদক, সন্ত্রাস, বাবা-মাকে হত্যা, দুর্ঘটনা, দুর্নীতি, খাদ্যে ভেজাল, ধর্ষণ, অপহরণ ইত্যাদি অপকর্ম সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। তাই শিক্ষা সিলেবাসে এবং সমাজের সর্বস্তরে ইসলামী চেতনার প্রতিফলনে রাষ্ট্র ও সরকারকে জরুরীভিত্তিতে এগিয়ে আসতে হবে।
অতিব দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকল ধর্মের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা লাভ করে। কিন্তু এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিন্দু সম্প্রদায়ের স্বরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়। এইদেশে মাত্র ৫ শতাংশ হিন্দু থাকলেও ৯৫ ভাগ মুসলিম ছাত্রদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বরস্বতী মূর্তি পূজা করা হয়। এটা চরম ইসলাম বিরোধী। আর ইসলাম ধর্ম এসেছে মূর্তিপুজার বিরুদ্ধে। তারপরেও এর জন্য জাতীয় পর্যায়ে ভোট পিছিয়ে দেয়া আর মুসলমানদের রোজার মাসে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখা ও জাতীয় পরীক্ষা নেয়া বিশেষ বৈষম্যমূলক। তাছাড়া স্বরস্বতী পুজা হিন্দুর জাতীয় বা সার্বজনীন পূজা নয়। কেউ পূজা করতে চাইলে মন্দিরে গিয়ে করুক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূজার মন্দির নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।