Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

৪০ কি.মি. দূরে কৃষকের ধান বিক্রি

কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

কক্সবাজারের সীমান্ত লাগোয়া বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় খাদ্য গুদাম নেই। ওই উপজেলার ৫ ইউনিয়নের কৃষক কক্সবাজারের উখিয়া, রামুর সীমান্ত পেরিয়ে ৪০ কিলোমিটার দূরে চকরিয়া উপজেলার শেষ সীমানা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পূর্বপার্শ্বে লামা উপজেলার আজিজ নগর এলাকায় আজিজ নগর স্থানীয় সরবরাহ কেন্দ্র (এলএসডি) খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে কৃষকের যাতায়াত খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রিত ধানের সুফল পাচ্ছেনা তারা। এলাকার কৃষকের দূর্ভোগ লাঘবার্থে একটি খাদ্য গুদাম নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
আজিজ নগর গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপায়ন বড়–য়া জানান, তার গুদামে ধান ক্রয়ের এবার টার্গেট ৪৮৫ মেট্রিক টন। তৎমধ্যে লামা উপজেলার আজিজ নগর ইউনিয়ন ও ফাইতং ইউনিয়ন থেকে ৩০ মেট্রিক টন করে মোট ৯৪১জন কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে ৬০ মেট্রিক টন ধান। এছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৫ ইউনিয়নের ৪২৭ জন কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে ৪২৫ মেট্রিক টন ধান। বর্তমানে ১০৩ জন কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা হয়েছে ১৫৮ মেট্রিক টন ধান।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপায়ন বড়–য়া জানান, কৃষক কোন ধরণের হয়রানি ছাড়া এ গুদামে ধান বিক্রি করতে পারছে। সুদুর নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে যে কৃষক অতিরিক্ত পরিবহন খরচ ব্যয় করে ধান বিক্রি করতে আসছেন, তাদেরকে দেয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা। এ সেবা পেয়ে কৃষক ধান বিক্রি করতে এসে উৎসাহ বোধ করছেন।
এদিকে স্থানীয় কতিপয় চাঁদাবাজ খাদ্য গুদাম ও কৃষকদের থেকে চাঁদা না পেয়ে বিভিন্ন ধরণের মিথ্যা অপবাদ রটিয়ে ধান ক্রয় কর্মসূচীতে ব্যঘাত ঘটার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধান

১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ