বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানীর মিরপুরে নিজের ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে বুকে গুলি করে শাহ মো. ক্দ্দুুস (৩১) নামের এক পুলিশ সদস্য আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল ভোর ৫টার দিকে মিরপুর-১৪ নম্বর পুলিশ লাইন মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে মৃত্যুর কারণের ইঙ্গিত দেন। তবে পুলিশ বলছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহত শাহ মো. কুদ্দুস হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি ২০১২ সালে কনস্টেবল হিসেবে পুলিশে যোগদান করেন। তার বাবার নাম শাহ আব্দুল ওয়াহাব।
কাফরুল থানার ওসি সেলিমউজ্জামান জানান, কুদ্দুস পিওএম ব্যারাকে থাকতেন। গতকাল ভোরে অন্য কর্মীদের মতো তারও পিওএমের বাইরে দায়িত্ব ছিল। তাই ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশের অন্য সদস্যেরা তাদের নামে বরাদ্দ করা রাইফেল নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে গাড়িতে ওঠেন। তবে সে সময় তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে মাঠের এক কোণায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে সুরতহাল প্রতিবেনকারী কাফরুল থানার এসআই মোজাম্মেল হোসেন মিয়া জানান, কুদ্দুস ইউনিফর্ম পরে ভোরে ডিউটিতে যাওয়ার সময় মিরপুর-১৪ পুলিশ লাইনে পিকআপভ্যানে উঠে নিজের ইস্যু করা এসএমজি দিয়ে বুকে গুলি চালান। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো জানান, নিহত পুলিশ সদস্যের বুকে দু’টি ছিদ্র দেখা গেছে। তার জন্য বরাদ্দ করা এসএমজি লাশের পাশেই পড়েছিল।
নিহতের সহকর্মীদের বরাত দিয়ে মোজাম্মেল হোসেন মিয়া জানান, কয়েকদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন কুদ্দুস। ধারণা করা হচ্ছে, সে কারণেই নিজের বরাদ্দ করা অস্ত্র দিয়ে বুকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন তিনি। তবে ডিউটিতে যাওয়ার জন্য পিকআপভ্যানে উঠেছিলেন তিনি। ওই পিকআপভ্যানের ভেতরেই এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, কুদ্দুস আত্মহত্যা করার আগে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করব না। আমার ভেতরের যন্ত্রণাগুলো অনেক বড় হয়ে গেছে। আমি আর সহ্য করতে পারছি না।’ প্রাণটা পালাই পালাই করছে .......।
তবে, সকল অবিবাহিতগণের প্রতি আমার আকুল আবেদন, আপনারা পাত্রী পছন্দ করার আগে পাত্রীর মা ভালো কি না সঠিকভাবে খবর নিবেন। কারণ পাত্রীর মা ভালো না হলে, পাত্রী কখনোই ভালো হবে না। ফলে আপনার সংসারটা হবে দোযকের মতো। সুতরাং সকল সম্মানীত অভিভাবকগণের প্রতি আমার শেষ অনুরোধ, বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিবেন। আল্লাহ হাফেজ।
তবে ফেসবুক স্ট্যাটাসের ব্যাপারে পিওএম উত্তরের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নূরজাহান বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা জেনেছি সে পারিবারিক সমস্যার বিষয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।