গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) অন্তর্বর্তী আদেশ ঘোষণায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ইকুয়েডরে গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (জিএফএমডি) সম্মেলনে এ আদেশকে তিনি ‘রোহিঙ্গা, মানবতা, গাম্বিয়া এবং বাংলাদেশের বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইকুয়েডরে জিএফএমডি’র শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। তখন তিনি বলেন, বিশ্বে কোনো দেশই এখন একা চলতে পারে না। মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বাংলাদেশ তাদের সাময়িক আশ্রয় দিলেও বিপুল মানুষের এই ভার বহন করা সম্ভব নয়। এই সংকট সমাধানে আমরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহায়তা চাই।
ইকুয়েডর সফররত ড. মোমেন বার্তায় বলেন, ‘এটা মানবতার বিজয় এবং সারাবিশ্বের মানবাধিকারকর্মীদের জন্য একটি মাইলফলক। এটা গাম্বিয়ার বিজয়, ওআইসির বিজয়, রোহিঙ্গাদের বিজয় এবং অবশ্যই বাংলাদেশের বিজয়। স্রষ্টা মানবতা এবং ‘মানবতার জননী’ শেখ হাসিনার কল্যাণ করুন।’
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত এ মামলায় আইসিজের আদেশে চারটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়। এ চার আদেশ হলো-
১. রোহিঙ্গা হত্যা বন্ধ এবং গণহত্যার প্রচেষ্টা বা ষড়যন্ত্র না করার জন্য মিয়ানমারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ।
২. রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে আগামী চার মাসের মধ্যে মিয়ানমারকে অবশ্যই প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। প্রথম প্রতিবেদন দাখিলের পর প্রতি ছয় মাস পর পর একই ধরনের প্রতিবেদন আদালতের কাছে উপস্থাপন করতে হবে।
৩. গাম্বিয়া ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আদালতের কাছে প্রয়োজনীয় বিষয়ে আবেদন করতে পারবে।
৪. মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব ধরনের নির্যাতন-নিপীড়নের প্রমাণাদি সংরক্ষণ করতে হবে।
এছাড়া, গণহত্যা সনদের ২নং ধারা অনুসারে রোহিঙ্গাদের বিশেষ সুরক্ষার অধিকারী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করার প্রস্তাবও দেন আদালত।
২০ থেকে ২৪ জানুয়ারি ইকুয়েডরের রাজধানী কিইটোতে ১২তম জিএফএমডি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্ব বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধি দল এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।