পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সফররত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দূত জ্যাং সুং মিন আজ বলেছেন, বহুমুখী খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সিউল ঢাকার সঙ্গে তার সম্পর্ককে আরও উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত করতে চায়। তিনি বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে তার ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ককে মূল্যবান বিবেচনা করে এবং দেশটি আগামী ৫০ বছরে এই সম্পর্ককে আরও উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত করতে চায়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওলের খুব ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা এবং প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের ভবিষ্যৎ কৌশল সংক্রান্ত সিনিয়র সচিব মিন এখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে বৈঠককালে এ মন্তব্য করেন।
বৈঠকে কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের এই বিশেষ দূত তাদের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন।
মোমেন বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের বিকাশে দক্ষিণ কোরিয়ার অমূল্য অবদানের কথা স্বীকার করে বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও জনশক্তি খাতে বিদ্যমান সম্পৃক্ততা জোরদারে বাংলাদেশ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
আলোচনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ নির্মাণ, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহযোগিতার বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল। দক্ষিণ কোরিয়া পক্ষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অসাধারণ উন্নয়ন অর্জনের স্বীকৃতি দিয়েছে। প্রেসিডেন্টের দূত আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া উভয়ই আগামী দিনে আরও ব্যাপক সহযোগিতার দিকে নিয়ে যাবে।
মিন মোমেনের কাছে চলতি বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তৈরি একটি স্মারক লোগো হন্তান্তর করেন।
এর আগে সকালে বিশেষ দূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, স্বাধীনতা, শান্তি ও সমৃদ্ধির অভিন্ন মূল্যবোধের ভিত্তিতে আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে কোরিয়ার প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেন।
কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দূত ঢাকায় পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গতকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘরও পরিদর্শন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।