বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে শিবির সন্দেহে ৪ সাধারণ শিক্ষার্থীকে রাতভর রড, স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে রাতভর নির্যাতন করেছে ছাত্রলীগ নেতারা। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের পর আহত শিক্ষার্থীদের হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও পুলিশের মাধ্যমে শাহবাগ থানায় নেয়া হয়। রাতেই এসব শিক্ষার্থীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে তিব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নেটিজেনরা। অনতিবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে তারা।
শিবির সন্দেহে বা ভিন্নমতের শিক্ষার্থীদের মারধরের অধিকার ছাত্রলীগের নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে ভিন্ন মতের শিক্ষার্থীদের শিবির সন্দেহে মারার। ছাত্রলীগকে এই অধিকার কে দিয়েছে? তাদের কোন অধিকার নেই। দেশটি আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের নয়।’
সংবাদটি নিজের ফেইসবুক ওয়ালে শেয়ার করে সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেন, ‘আবরারের বেলায় যারা সরব হয়েছিলেন, এখন তারা নীরব কেন? নাকি আবরারের মতো লাশ না হলে আমরা সরব হই না!’
‘ছাত্রলীগকে কি রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, কিংবা কে ছাত্রশিবির, কে ভিন্ন মতের; তা খতিয়ে দেখার টেন্ডার দেয়া হয়েছে? এদের লাগাম টেনে ধরুন, না হলে ওরাই দলের ক্ষতির জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।’ - মির্জা আরাফাতের মন্তব্য।
এনকে সোহাগের প্রশ্ন, ‘ছাত্রলীগের ভাইদের বলবো তোমরা সাধারণ ছাত্রদের শিবির উপাধি দিয়ে এইভাবে যে মারো, তোমাদের বিবেকও কি একবার এমন নোংরামি করতে বাধা দেয় না? আর শিবির করলেই তাকে মারতে হবে, এটা কেমন নীতি তোমাদের? শিবির কি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ? পারলে আগে শিবির নিষিদ্ধ করো। আর নিষিদ্ধ করার পরেও তোমরা মারবা কেন? তোমরা শিবির মারার কে? তোমাদের এমন নোংরামি দেখে তোমাদের মায়েরাও মনে হয় তোমাদের ঘৃণা করে। তোমাদের মায়েদের জিজ্ঞেস করে দেখো, আমার বিশ্বাস তোমাদের মায়েরাও তোমাদেরকে নিয়ে লজ্জা পায়। কারণ পৃথিবীতে মায়েদের কাছে সকল সন্তানই সমান।’
‘আল্লাহ আমরা নিরুপায়। শুধু তোমার কাছে বিচার দিয়ে রাখলাম। তুমি বিচার করিও। ’ - লিখেছেন আয়শা আজমেরি।
উদ্বেগ জানিয়ে জিল্লুর রহমান লিখেন, ‘মরলেই শুধু আলোচনায় আসে! মৃত আবরারকে নিয়ে মায়া কান্না না কেঁদে, দেখুন পারেন কিনা জীবিত আবরারদের নিরাপত্তা দিতে। তা না হলে আবরারদের মিছিলের সারি দীর্ঘই হবে শুধু।’
‘যাদের মারা হলো,তাদেরকেই আবার পুলিশে দেয়া হলো। আচ্ছা বুঝি না, কিছু হলেই জামাত শিবির বলে অপবাদ দিয়া ছাত্রদেরকে বেদম মারা হয়। ছাত্রলীগ পুলিশি দায়িত্ব কমে থেকে পালন করা শুরু করলো? আর বাংলাদেশের সংবিধানের কোথায় লেখা আছে শিবির হলেই মারতে হবে? কখনো তো শুনলাম না যে ছাত্রলীগ একজন ধর্ষকে মারছে।’ - ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেন হাসিবুল ইসলাম নাঈম।
নিন্দা জানিয়ে নীরা হক লিখেন, ‘এই ঘটনার তিব্র ন্দিা জানাচ্ছি। পাশাপাশি অনতিবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতারপুর্বক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি নিষিদ্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি। ‘
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।