রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বারের বিরুদ্ধে ভাতার বই করে দেয়া ও সরকারি ঘর দেয়ার নামে অর্থ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ইউপি সদস্য মো. ঝন্টু বিশ্বাস (৪৮) তা অস্বীকার করেছেন।
জানা যায়, শিশু কার্ড করে দেয়ার জন্য কলিমাঝি গ্রামের কুদ্দুস মোল্যার নিকট থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা ঘর দেয়ার কথা বলে ওই গ্রামের নাজমুল বিশ্বাসের নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন ঝন্টু বিশ্বাস। এভাবে এ গ্রামের হিরু মোল্যার ছেলে ছুরবান মোল্যার নিকট থেকে ৩ হাজার, জামাল মোল্যার ছেলে ছুরবান মোল্যার নিকট থেকে ২ হাজার ৫০০, মো. সামচু শরীফের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০, আকরাম শরীফের নিকট থেকে ২ হাজার, জিন্নাত বেগমের নিকট থেকে ৩ হাজার ৫০০, দেলোয়ারের নিকট থেকে ৩ হাজার ৫০০, মোহাম্মাদ মোল্যার নিকট থেকে ২ হাজার ৫০০, হাসমত মোল্যার নিকট থেকে ৩ হাজার টাকা নেন মেম্বার ঝন্টু বিশ্বাস।
এ ব্যাপারে মো. কুদ্দুস মোল্যা বলেন, প্রায় ২ বছর আগে ঝন্টু বিশ্বাস শিশু কার্ড, বয়ষ্ক ভাতা ও সরকারি ঘর দেয়ার নাম করে এ সকল লোকদের নিকট থেকে টাকা নেন। এখন তিনি টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না এবং ওই সকল সরকারি সুযোগ সুবিধাও দিচ্ছেন না। টাকা চাইতে গেলে উল্টা তিনি হুমকি ধামকি দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি দেখায়।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মো. ঝন্টু বিশ্বাস টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কুদ্দুস মোল্যাদের সাথে গোলমালের বিষয় নিয়ে মামলা চলছে। সে জন্য তাকে হয়রানি করার জন্য কুদ্দুস মোল্যা এসব মিথ্যা অভিযোগ করাচ্ছেন।
রুপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজিজার রহমান মোল্যা বলেন, আপনারা সাংবাদিক নিউজ না করে এলাকায় গিয়ে ঝন্টুকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসেন। তাহলে টাকা ফেরত দিতে পারে। এ বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে আমারও মান-সম্মান নষ্ট হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।