পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্দো-প্রশান্ত’ কৌশলের ব্যাপারে কড়া সমালোচনা শুক্রবার করে বলেছে যে, এটা একটা ‘সংশোধনবাদী এজেন্ডা’। যদিও তারা এটাও উল্লেখ করেছে যে, আঞ্চলিক গ্রুপ গঠনের ক্ষেত্রে ভারতের যে ধারণা, সেটা পশ্চিমা দেশগুলোর মতো এতটা বিভাজন সৃষ্টিকারী নয়। রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে ইন্দো-প্রশান্ত কৌশলের সমালোচনা করে আসছে। ১০ বছর বিরতির পর ২০১৭ সালে যখন কোয়াডের সদস্য ভারত, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র আর অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র সদস্যরা মিলিত হন, এর একমাস পরেই তাদের কড়া সমালোচনা করেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তখন থেকেই ইন্দো-প্রশান্ত ধারণার বিরুদ্ধে নিয়মিত সমালোচনা করে এসেছেন ল্যাভরভ, যেটাকে মস্কো ও বেইজিংকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার সুস্পষ্ট পশ্চিমা ষড়যন্ত্র হিসেবে মনে করে তারা। ল্যাভরভ যখন ভারত সরকারের-পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত রেইজিনা ডায়ালগে প্রথমবারের মতো কথা বলেন, সেখানে তিনি এই ধারণা নিয়ে আবারও নেতিবাচক কথা বলেছেন। বুধবার তিনি বলেন, “এটাকে কেন ইন্দো-প্রশান্ত বলা হচ্ছে। আপনারা উত্তরটা জানেন। উত্তর হলো চীনকে নিয়ন্ত্রণ করা”। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য ভারতের বিষয়ে আলাদাভাবে উল্লেখ করে বলেন, ভারতের ইন্দো-প্রশান্ত কৌশলে এই নিয়ন্ত্রণের আকাক্সক্ষা ছিল না। জবাবে, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে উল্লেখ করেন যে, এশিয়া-প্রশান্তের যে ধারণার কথা রাশিয়া বলেছিল, সেটা ছিল ঔপনিবেশিক ধারণা এবং সেটা আর এগিয়ে নেয়ার প্রয়োজন নেই। রেইজিনা ডায়ালগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, “চীন ও দক্ষিণ প‚র্ব এশিয়ার সাথে ভারত বহু শতক ধরে সংযুক্ত। ঔপনিবেশবাদ এসে এই সংযোগটা ভেঙ্গে দিয়ে গেছে। আজ বৈশ্বিক অভিন্ন নীতি গুরুত্বপূর্ণ এবং ইন্দো-প্রশান্ত সে ধরণেই একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা”। ভারতের শীর্ষ এই ক‚টনীতিক মাকৃইন ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর ম্যাট পটিঙ্গারের সাথেও একমত পোষণ করেন যে, ইন্দো-প্রশান্ত আসলে একটা ‘নৈতিক ভিশন’ মাত্র। একদিন পর ভারতে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদ‚ত নিকোলাই কুদাশেভ বলেন যে, মস্কো ইন্দো-প্রশান্ত ধারণা নিয়ে বিভাজন সৃষ্টির আশঙ্কা করেছে, সেটার কারণ হলো বর্তমান আঞ্চলিক পরিস্থিতিতে পশ্চিমা ব্লক এই ধারণাটির অপব্যবহার করতে পারে। তিনি সাংবাদিকদেরকে বলেন, “আমরা উদ্বিগ্ন এবং ইন্দো-প্রশান্ত কৌশল নিয়ে পশ্চিমাদের আকাক্সক্ষার সাথে একমত নই আমরা কারণ এই অঞ্চলে আলোচনার যে কাঠামো রয়েছে, সেটিকে তারা অগ্রাহ্য করতে চায়”। কুদাশেভ বলেছেন যে, তার মন্ত্রী “ইন্দো-প্রশান্ত কৌশল থেকে চীনকে বাদ দেয়ার বিষয়টি সঠিকভাবেই উল্লেখ করেছেন”। কিন্তু, তিনি আরও বলেন যে, প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলে রাশিয়ার অন্যতম দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত থাকা সত্বেও রাশিয়া নিজেও এটা থেকে বাদ পড়েছে। দ্য ওয়ার, এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।