রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আশাশুনি উপজেলার খাজরায় একটি মাত্র বাঁশের সাঁকোর উপর ভরসা করে ৩টি বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী চলাচল করে আসছেন।
জানা যায়, খাজরা ইউনিয়নের গজুয়াকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন চেউটিয়া খালের উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি এলাকার মানুষের পারাপারের একমাত্র সম্বল। বর্তমানে সাঁকোটি জনাজীর্ণ ও নড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বাইনতলা আর সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ত্রয়োদশ পল্লী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং গজুয়াকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছ্ত্রা-ছাত্রীদের একটি বড় অংশ এ ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোর উপর দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হয়। এছাড়া এলাকার সাধারণ জনগণ বিভিন্ন প্রয়োজনে উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী কয়েকটি বাজারে যাতায়াত করে থাকে। তারা আরও জানান, কৃষি কাজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেয়ার ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের। বিষয়টি জনপ্রতিনিধিদের কাছে কয়েকবার বললেও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, সাঁকো অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শত ব্যস্ততার মাঝেও সকালে ছেলে মেয়েদের বাঁশের সাঁকো পার করে স্কুলে পাঠাতে হয়। এবং ছুটি শেষে আবারও তাদেরকে পার করে বাড়িতে নিয়ে আসতে হয়। অনিতা, স্বরসতিসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি পারাপার হতে তাদের ভোগান্তির অন্ত থাকে না। অনেক শিক্ষার্থী পা পিছলে সাঁকো থেকে খালের পানিতে পড়ে বইপত্র বিনষ্ট ও আহত হলেও সাঁকোর স্থানে এখনও ব্রিজ বা কালভার্ট নির্মাণের ব্যবস্থা করা হয়নি।
এ ব্যাপারে কালিকাপুর ইউপি সদস্য ইব্রাহিম গাজী জানান, বিষয়টি নিয়ে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করা হয়েছিল। চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছেও তুলে ধরা হয়েছে কিন্তু কালভার্ট বা ব্রিজ নির্মাণের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের যানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁশের সাঁকোর স্থানে অতিদ্রæত ব্রিজ বা কালভার্ট নির্মাণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসর মীর আলিফ জানান, সাঁকোর সমস্যার কথা জানাছিল না, সরাসরি দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।