প্রায় দেশজুড়ে অসহ্য শীতের দাপট আরও কমে এসেছে। তাপ ও ভাপ যথেষ্ট মাত্রায় বেড়েছে। তবে আরেক দফা শীতের একটি বলয় বিরাজ করছে বাংলাদেশের কাছে-ধারে হিমালয়ের পাদদেশে। ঘাড়ে হিম হাওয়া বয়ে যেতে পারে এ সপ্তাহের শেষ দিকেই।

গতকাল (শুক্রবার) ঘোর শীতের মাঘ মাসের তৃতীয় দিনে দেশের সর্ব-উত্তরের জনপদ পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় পূর্বাভাস অনুযায়ী হালকা (এক মিলিমিটার) বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেখানে পারদ ছিল সর্বনিম্ন ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে কুয়াশার তীব্রতা হ্রাস পেয়ে সূর্যের বাড়তি তেজ বা রোদ থাকার সুবাদে গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৬ এবং সর্বনিম্ন ১৫.১ ডিগ্রি সে.। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈকত নগরী কক্সবাজারে ৩১ ডিগ্রি সে.। দেশের অধিকাংশ স্থানে দিনের তাপমাত্রা ছিল ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রিতে। এরফলে স্বস্তিদায়ক অবস্থা বিরাজ করে ছুটির দিনের আবহাওয়ায়।

আজ (শনিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের দুয়েক জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টির হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। রংপুর বিভাগে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি এবং দেশের অন্যত্র রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রংপুর বিভাগে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দেশের অন্যত্র দিনের সার্বিক তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার মতিগতি কিছুটা বদল হতে পারে। এরপরের ৫ দিনে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।

আবহাওয়া বিভাগ জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং এর বাংলাদেশের সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।