পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতি বছরের মতো এবারও শীতে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় এসেছে উত্তরাঞ্চলের চিত্র। উত্তরাঞ্চলের যেদিক চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। সরিষা ফুলের হলুদ রঙের চাদরে আবৃত মীরসরাই উপজেলার অনেক এলাকা। বিভিন্ন গ্রামে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে সরিষা আবাদ।
প্রচারণা এবং কৃষি বিভাগের উদ্যোগের অভাব থাকলেও প্রত্যাশার তুলনায় বেশি আবাদ হয়েছে সরিষার। অথচ মীরসরাইতে প্রাকৃতিকভাবে সরিষা ফলনের উপযোগী অনেক মাঠ রয়েছে। উপক‚ল থেকে পাহাড়ি ঢালুসহ মধ্যবর্তী বিস্তীর্ণ জমিতে সহজেই ফলন হয়। নিয়মের প্রচারণা পেলেই পতিত জমিগুলো ভরে উঠতে পারে হলুদের উৎসবে। ইতোমধ্যে অনেক গ্রামে সবুজ, বেগুনী, সাদা, সোনালী নানা মৌসুমী ফলনের পাশাপশি হলুদের হাসি যেন অন্য সকল সুন্দরকে হার মানিয়ে মাঠজুড়ে আলোর হাসি হয়ে উঠেছে।
উপজেলার সোনাপাহাড়, ইছাখালী, হিঙ্গুলী, করেরহাট, ধূম, দুর্গাপুর, ইছাখালী, আমবাড়িয়া গ্রামের পাহাড়ি এলাকা সংলগ্ন অনেক জমিতেই এখন বেড়েছে সরিষার চাষ। পৌষে চাষ করার পর মাঘের শুরুতেই সরিষা ফুল ফোটার ধুম পড়েছে। মাঠের দিকে তাকালে মনে হয়, সবুজ-হলুদের সমন্বয়ে বাতাসে দোল খাওয়ার মতো কৃষকদের মনও দোলছে। হলুদ চাদরে সোনালী আভায় গোটা প্রান্তর হয়ে উঠেছে আলোকময়।
উপজেলার সোনাপাহাড় ও হিঙ্গুলী গ্রামের মাঠ সরিষা চাষে সোনালী আলোতে ঝলমল করছে। সোনাপাহাড়ে গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পায়নি সরিষা চাষ। আমবাড়িয়া গ্রামের কয়েকটি ফসলের মাঠে গত বছর মশুর, হেলোইন, বাউলা, মোটরসুটি ও ধনেপাতার পাশাপাশি একই জায়গায় সরিষা ও চাষ করা হয়েছিল। এবার সে দৃশ্য নেই।
কৃষি বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, দেশে এখন ১৫ জাতের সরিষার ফলন হচ্ছে। তবে মীরসরাই উপজেলায় বারি-১৪/১৫ এবং টরি ৭ জাতের সরিষা বেশি হয়ে থাকে। মীরসরাইতে চাষ হওয়া সরিষা প্রতি হেক্টরে এক হাজার ৬০০ কেজি থেকে দুই হাজার কেজি উৎপাদন হবে। আবাদ স¤প্রসারিত হলে দেশে সরিষার আমদানি নির্ভরতা কমবে।
প্রতি কেজি সরিষা থেকে ৫০০ গ্রাম তেল পাওয়া যায়। এ সরিষা আবাদের মাত্র ৯০ দিনের মাথায় জমি থেকে কাটা যায়। তারপর জমিতে ইরি ও বোরো আবাদ করা হয়। বারি সরিষা আবাদ করে কৃষক বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো অঙ্কের মুনাফা করতে পারবে।
উপজেলার ৮ নম্বর দুর্গাপুর ইউনিয়নের পূর্ব দুর্গাপুর গ্রামের সরিষা চাষী রেজাউল করিম জানান, গত বছরের ন্যায় এবারও মৌসুমে সরিষা আবাদ করেছি। আশা করছি অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বেশি ফলন ঘরে তুলতে পারব।
মীরসরাইয়ের উপজেলা কৃষি উপ-সহকারি কাজী নুরুল আলম জানান, মীরসরাইয়ের মাঠি সরিষা আবাদের জন্য অনেক উপযোগী। উপজেলায় গত বছরের তুলনায় সরিষা আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর ৩৫ হেক্টর আবাদ হলেও এবার হয়েছে ৪০ হেক্টরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।