বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বি-বাড়িয়ার জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার ছাত্রদের ওপর কাদিয়ানিরা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তাহাফফুজে খতমে নবুওত মাদরাসার পাশে কাদিয়ানীদের উপাসনালয়ের নিকটে এ ঘটনা ঘটে। এ হামলায় আহত চার ছাত্রকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কান্দিপাড়া এলাকায় মাদরাসায়ে তাহাফফুজে খতমে নবুওতের পাশেই কাদিয়ানিদের একটি উপাসনালয় আছে। সেখানে আজ তারা একটি সম্মেলনের আয়োজন করে। প্রতি বছর এমন একটি সম্মেলন করে থাকে তারা। এখানে বেশ কিছু মুসলিমকে প্রতি বছরই নতুনভাবে কাদিয়ানি ধর্ম গ্রহণ করানো হয়। এবারের সম্মেলনে প্রশাসনের কোনো অনুমতি ছিল না। অনুমতি ছাড়াই তারা এ সম্মেলনের আয়োজন করে। এবং সম্মেলন থেকে ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে নানা আলোচনা চলতে থাকে।
এ খবর জানতে পেরে সন্ধ্যার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বড় মাদরাসা হিসেবে পরিচিত জামিয়া ইউনুসিয়ার ছাত্ররা সন্ধ্যার সময় সম্মেলন কর্তৃপক্ষকে বলেন, ইসলামের নামে এমন অনুষ্ঠান করা যাবে না, তাছাড়া আপনারা প্রশাসনের অনুমতিও নেননি। এবং এলাকার মানুষের ও বেশ অসুবিধা হচ্ছিল তাই ছাত্ররা তাদেরকে সম্মেলন বন্ধ করার জন্য এ কথা বললে তারা ছাত্রদের দিকে তেড়ে আসে।
হামলায় আহত জামিয়া ইউনুসিয়ার এক ছাত্র বলেন, কাদিয়ানিরা যখন আমাদের দিকে তেড়ে আসে তখন অল্প কয়েকজন ছিলাম আমরা। বিতণ্ডার কথা জানতে পেরে খতমে নবুওত মাদরাসার ছাত্ররাও এসে হাজির হন। তখন ফুটে ওঠে কাদিয়ানিদের আসল রূপ। তারা পূর্ব থেকেই অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত ছিল। খতমে নবুওতের ছাত্ররা ছুটে আসতেই তারা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করে।
তিনি বলেন, অস্ত্রের মুখে আমরা টিকতে না পেরে খতমে নবুওত মাদরাসার দিকে গেলে তারা মাদরাসা পর্যন্ত আসে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে। এ সময় জামিয়া ইউনুছিয়ার বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে চারজনকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাদিয়ানিরা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মাদরাসার দিকে এগিয়ে যাবার সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে হাজির হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুরো এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এবং আগামীকাল এনিয়ে স্থানীয় আলেম ওলামা এবং সরকারি লোকজন পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন বলে জানা গেছে।
ইসলাম ও দেশরক্ষা পরিষদের ইসলাম ও দেশরক্ষা কমিটির আহবায়ক মাওলানা আমিরুল ইসলাম ও নাসিমুর রহমান ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। এঘটনায় প্রশাসন যথাযথ না নিলে যেকোন মূল্যে প্রতিহত করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।