পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলাম ও দেশরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক নাসিমুর রহমান রেজভী এবং সদস্য সচিব মাওলানা আমিরুল ইসলাম কাসেমী আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন সাম্প্রতি এদেশের কুখ্যাত ইসলামবিদ্বেষী জনৈক ‘আসাদ নূর’, সরাসরি ফেসবুকে ভিডিও ছেড়ে পবিত্র কুরআন শরীফের উপর পেশাব করার ঘোষণা দিয়েছিল (নাউযুবিল্লাহ)। তাছাড়া সে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শান মুবারক নিয়ে অশ্লীল ব্যঙ্গবিদ্রুপ করায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। কিন্তু সম্প্রতি তাকে জেল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, তসলিমা নাসরিনের অনুসারী এদেশে উগ্র হিন্দু ও নাস্তিকদের সংগঠন ‘তসলিমা পক্ষ’ আসাদ নুরের ছাড়া পাওয়া নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনও করেছে। ৯৫ শতাংশ মুসলমানদের এই দেশে সরকারের প্রশ্রয়ের কারণেই এরা এমন নগ্ন আস্ফালন করেছে।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে মন্তব্যের ক্ষেত্রে পান থেকে চুন খসলে তৎক্ষনাত মন্তব্যকারীকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে অর্ধমৃত করে দেয়া হচ্ছে। অথচ রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অবমাননাকারীদের জামাই আদরে রেখে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। সরকারের এইরুপ নীতি তীব্র নিন্দনীয়। উল্লেখ্য, এবারের কুরবানীতে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত হানার এবং তাচ্ছিল্য করার কোন পন্থাই সরকার বাদ যায়নি। কুরবানী ঈদের পূর্বে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ ঘোষণা করেছিলেন যে, কোনো অবস্থাতেই যেন প্রকাশ্য স্থানে কুরবানী না হয়। (নাউযুবিল্লাহ!)
আশ্চর্যের বিষয় হলো, মুসলমানদের এই দেশে মুসলমানরা প্রকাশ্যে আল্লাহ্র নির্দেশ কুরবানী করতে পারবে না! এটা চিন্তাও করা যায় না। এইবারের কুরবানীর ঈদের পূর্বে উত্তরপ্রদেশের উগ্র হিন্দু মূর্খমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও ঘোষণা দিয়েছিল যে, প্রকাশ্যে কুরবানী করা যাবে না। তাই ধরে নেয়া যায় যে, উগ্র হিন্দুদের এজেন্ডাই এদেশের সরকার এদেশে বাস্তবায়ন করছে সরকার।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, সরকারের গত নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল ‘পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী আইন পাশ হবে না।’ এরপরও আসাদ নূরের ন্যায় একজন কুখ্যাত ইসলামবিদ্বেষীকে সর্বোচ্চ শাস্তি না দিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়ে নাস্তিক্যবাদীদের আস্ফালনের সুযোগ করে দিয়ে সরকার আসাদ নূরদের আসকারা দিয়ে মুসলমানদের সাথে প্রতারণা করেছে। তাই সরকারের প্রতি অনুরোধ মুসলমান হিসেবে সংবিধানের ধারা অনুযায়ী এসব কটাক্ষকারীদের দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন। নতুবা আল্লাহ তায়ালা আপনাদের ক্ষমা করবেন না। যা আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ঘোষণা দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।