Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পার্বত্য বাঙালিদের বঞ্চিত করার কোটা বিধিমালা বাতিল করতে হবে -ইসলাম ও দেশরক্ষা পরিষদ

‘পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিরা আদিবাসী নয়’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৮, ৬:৪৫ পিএম

ইসলাম ও দেশ রক্ষা পরিষদের আহবায়ক মাওলানা হামিদুর রহমান রেজভী ও সদস্য সচিব মাওলানা আমিনুল ইসলাম কাশেমী গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন কথিত আদিবাসীদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস হতে জানা যায়, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এদেশের আদিবাসী নয়।
একইভাবে ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, সমতলের উপজাতীয় সম্প্রদায় যেমন সাঁওতাল, গারো, হাজং, মনিপুরী প্রভৃতির বাংলাদেশে আগমনের ইতিহাস তিন-চারশ’ বছরের বেশি নয়।
চাকমা : আদিনিবাস হলো চম্পকনগর, মায়ানমার, আনুমানিক ১৭১১ সালের দিকে এদেশে আসে।
ত্রিপুরা : আদিনিবাস ভারত, আনুমানিক ১৫ শতকের দিকে আসে।
মারমা : আদিনিবাস মায়ানমার, আনুমানিক ১৭ শতকের শুরুর দিকে আসে।
তঞ্চংঙ্গা : আদিনিবাস মায়ানমার, আনুমানিক ১৮১৯ সালের দিকে আসে।
চাক : আদিনিবাস মায়ানমার, আনুমানিক ১৮ শতকের শুরুর দিকে আসে।
খুমি : আদিনিবাস মায়ানমার, নির্দিষ্ট তারিখ নেই নেই।
খ্যাং : আদিনিবাস চীন হয়ে মায়ানমার, আনুমানিক ১৯ শতকের শুরুর দিকে আসে।
লুসেই ও পাংখুয়া : আদিনিবাস মিজোরাম, আনুমানিক ১৯ শতকের শুরুতে আসে।
বম : আদিনিবাস মায়ানমার, আনুমানিক ১৮৩৮ সালের দিকে আসে।
ম্রো ও মুরং : আদিনিবাস মায়ানমার, আনুমানিক ১৭ শতকের দিকে আসে।
রাখাইন ও মগ : আদিনিবাস মায়ানমার, ১৭৮৪ সালের দিকে আসে।
কুকি : আদিনিবাস মায়ানমার।
প্রখ্যাত উপজাতি গবেষক ও নৃতত্ত্ববিদ RHS Hutchison (1960), TH Lewin (1869, অমেরেন্দ্র লাল খিসা, Jaffa (1989) এবং Ahmed (1959) প্রমুখের লেখা, গবেষণাপত্র, থিসিস এবং রিপোর্ট বিশ্লেষণে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়, উপজাতীয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলো আদিবাসী নয়। তারা সবাই একবাক্যে বলেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজাতিরা নিকট অতীতের কয়েক দশক থেকে নিয়ে মাত্র কয়েক শতাব্দী আগে এদেশে স্থানান্তরিত হয়ে অভিবাসিত হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের এসব উপজাতীয় জনগোষ্ঠীগুলোর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, এসব উপজাতিগুলো প্রায় সবাই যুদ্ধবিগ্রহ এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামার ফলে তাদের পুরাতন বসতিস্থান থেকে এখানে পালিয়ে এসেছে। নতুবা, এক জনগোষ্ঠী অন্য জনগোষ্ঠীর পশ্চাৎধাবন করে আক্রমণকারী হিসেবে এদেশে প্রবেশ করেছে (Huchinson 1909, Bernot 1960 and Risley 1991)। সুতরাং উপজাতির ধুয়া তুলে চাকরি ও ভর্তিতে কোটা নির্ধারণ সম্পূর্ণ বেআইনি। এর ফলে পার্বত্য বাঙালিরা ক্রমেই বঞ্চিত হয়ে পিছিয়ে পড়েছে। তাই উপজাতির নামে এই বেআইনি কোটা বিধিমালা বাতিল করতে হবে। তাদেরকে সাধারণ মেধার ভিত্তিতে চাকরি ও ভর্তির সুযোগ নিতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ