গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় সন্তুষ্ট হতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপি মনোনীত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় ২১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বাড্ডা ফুজি টাওয়ার থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ শুরুর প্রাক্কালে তিনি এই কথা জানান। তাবিথ আউয়াল বলেন, আপনারা জানেন বিভিন্ন স্থানে আমাদের প্রচারে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করে বেরিয়ে যাওয়ার পর আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। নিয়মিত পোস্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দলীয় কর্মীদের বলেছি,আচরণ বিধি মেনেই প্রচার চালাতে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে বলব, তারাও যেন তাদের দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করেন। মহানগরীর ভোটাররা বেশ উৎসাহ উদ্দীপণার মধ্যে আছে। কিন্তু নানাভাবে বিএনপি মেয়র কাউন্সিলর প্রার্থীদের আতঙ্কের মধ্যে রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, জনমত আমাদের পক্ষে। তারা (ক্ষমতাসীনরা) যে হামলা করছে তা আমাদের ওপর নয়, এ হামলা হচ্ছে জনগণের বিরুদ্ধে। এসব বাধা বিপত্তির মধ্যেও নিয়ম অনুযায়ি সারাদিন নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচার চালাই। কিন্তু রাতে ফের আমাদের কর্মীদের বাসাবাড়িতে হানা দিচ্ছে পুলিশ। তিনি বলেন, নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কিছু নাই। শত বাধার পরও বিএনপি নেতাকর্মীরা শান্ত আছে। তারা যতই উস্কানী দিক আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মাঠে আছি। থাকবো।
এরপর লিংক রোড থেকে মধ্য বাড্ডা বাজার, স্কুল রোড, মেরুল বাড্ডা, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডর পোস্ট অফিস থেকে শুরু হয়ে পাঁচতলা। সেখান থেকে দক্ষিণ আনন্দনগর, আফতাব নগর মেইনরোড থেকে মধ্যবাড্ডা। ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড মোল্লা পাড়া বাজার থেকে শুরু হয়ে আদর্শ নগর। সেখান থেকে স্বাধীনতা স্মরণী, উত্তর বাড্ডা বাজার রোড হয়ে আলীর মোড় ও পুরাতন থানা রোড। ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড শাহজাদপুর ঈদগাহ মসজিদ রোড হয়ে খিলাবাড়ীর টেক,জমির মেম্বারের, নূরের চালা,বাজার মসজিদ, ভোটঘাট । সেখান থেকে বারিধারা মহিলা সমিতির সামনে দিয়ে নূরচালা পশ্চিম আশরাফিয়া মাদ্রাসা, কলতান স্কুল, বারিধারা মা ও শিশু হাসপাতাল। এবং ৪০ নম্বর ওয়ার্ড বারিধারা মা ও শিশু হাসপাতাল থেকে বারিধারা নতুন বাজার, ভাটারার মোড়, ছোলমাইদ, ছাপরা মসজিদ, কোকাকোলার মোড় ও বারিধারা জে ব্লকের উদ্দেশ্যে গণসংযোগ করতে করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় তার সঙ্গে হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ হাত মেলাতে দেখা যায়।
তাবিথ আউয়াল বলেন, ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জনগণ ভোট দিতে পারলে বিজয় সুনিশ্চিত। গণসংযোগে তার সঙ্গে রয়েছেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন ফারুক, ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জলবায়ু বিষয়ক সহ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ,সহসভাপতি জেবা খান, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, সহসভাপতি বজলুল বাসিদ আঞ্জু,২১ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী এজি এম শামসুল হক, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গতকাল সোমবার রাতে বিএনপি সমর্থিত ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও দক্ষিণ খান থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাক আলী আকবর আলী জানান , ' সোমবার সকালে ক্ষিণখান বাজারে আমার টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করেছি। আসরের নামাজের পরপর সোনারখোলা এলাকায় প্রচাওে বের হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের ছেলেরা বাধা দেয়। আমি তাদের বলি প্রচার আমি করবই। ওরা বলে প্রচার করতে পারবেন না। আমার সাথে কিছু সিনিয়র মুরব্বি ছিলেন তারা বললেন ঝগড়া করার দরকার নেই অন্য এলাকায় যাই। সন্ধ্যার পরে আমার অফিসে বসি। এরপর যেহেতু সময় আছে তাই প্রচাওে বের হলাম। এটা আমার বাজার। বাজারে শতশত লোক। প্রচার শেষ করে বাসায় আসি। বাসায় আসার পর শুনি আমার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। গিয়ে দেখি চেয়ার টেবিল ভেঙে ফেলেছে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। গোলাম রব্বানী, সুমন,রুবেল, সজীবসহ বেশ কয়েকজন এই হামলার সঙ্গে জড়িত।সোমবার রাত আটটা থেকে সোয়া আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় অফিসে আমরা কেউ ছিলাম না।
তিনি জানান, থানায় মামলা করার জন্য গিয়েছিলাম। পুলিশ আশ্বস্ত করেছে, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না।
গতকাল সোমবার রাত ৮ টার দিকে রাজধানীর শাহাজাতপুর সুবাস্তুনজর ভ্যালী উল্টোপাশে ঢাকা উত্তর সিটির ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিল প্রার্থী শরিফ উদ্দীন জুয়েলের নির্বাচনীয় প্রচারণার অফিস উদ্ভোধন করেন মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল। সেখান থেকে ফেরার পর উপস্থিত নেতাকর্মীদের ওপর এই হামলা হয়েছে। শরিফ উদ্দিন জুয়েল বলেন, বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল আমার নির্বাচনী প্রচারণার অফিস উদ্ভোধন করতে এসেছিলেন। অফিস উদ্ভোধন শেষে আমরা( তাবিথ আওয়াল, ফুটবলার আমিনুল হক, যুবদল উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম মিল্টন) একই গাড়িতে ফিরে আসি। সেখান থেকে ফেরার মিনিট খানেক পর আমার নির্বাচনী অফিসে হামলা হয়। এতে সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের মাঈনুল, সিরাজসহ প্রায় ১০ দশ আহত হয়েছে'।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।