পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দিনের বেলায় হঠাৎ নেমে যাওয়া তাপমাত্রার পারদ গতকাল ফের কিছুটা বাড়তির দিকে গেছে এবং সূর্যের খানিকটা তেজে উষ্ণতাও বেড়েছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ জায়গায়। এরফলে আগের তিন দিনের তুলনায় জনজীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তি এসেছে। গতকাল ঢাকায় দিনের (সর্বোচ্চ) তাপমাত্রা ছিল ২৩.৬ এবং রাতের সর্বনিম্ন ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে রাতে-দিনে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশাপাত এবং সেইসাথে উত্তরের হিমেল কনকনে হাওয়ার কারণে শীতকষ্ট অব্যাহত রয়েছে। গত রোববার ঢাকায় দিনের পারদ ১৭.১ ডিগ্রিতে নেমে যায়।
আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস থেকে আশাবাদ, আজ সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও বাড়তে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সে.। তাছাড়া পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রাত ও দিনের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে পারে।
গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল উত্তর জনপদের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ৭.২ ডিগ্রি সে.। সর্বোচ্চ টেকনাফে ২৬.৬ ডিগ্রি সে.। গতকাল ১০ ডিগ্রির নিচে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের এলাকাগুলোর মধ্যে ছিল রংপুর বিভাগের রাজারহাটে ৮.১, যশোরে ৮.২, চুয়াডাঙ্গায় ৮.৪, ডিমলায় ৮.৬, ঈশ্বরদীতে ৮.৮, রাজশাহী ও সৈয়দপুরে ৯, দিনাজপুরে ৯.১, বদলগাছীতে ৯.৩, রংপুরে ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চট্টগ্রামে তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ২১.৭ এবং সর্বনি¤œ ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমঙ্গল ও নিকলিসহ কয়েক জায়গায় দিনের তাপমাত্রা মাত্র ১৮ থেকে ১৯ ডিগ্রিতে থাকায় সেসব স্থানে তীব্র শীত অনুভ‚ত হচ্ছে।
গতকাল আবহাওয়া বিভাগ জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ অর্থাৎ শীতের একটি বলয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের পূর্বাঞ্চলে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশাপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁও, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সে. পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রাত ও দিনের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরের ৫ দিনে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজশাহী ব্যুরো জানায় : হিমালয় ছুয়ে আসা হিমেল হাওয়া রাজশাহী অঞ্চলের জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করেছে। বইছে মৃদ্যুশৈত্যপ্রবাহ। ফলে শীতের প্রকোপ বেশী অনুভ‚ত হচ্ছে। সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে চারিদিক।
গতকাল সোমবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি। সকালে বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৪ শতাংশ ও সন্ধ্যায় ছিলো ৫১ শতাংশ।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক ফেরদৌস আলম বলেন, রাজশাহীর উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। তবে দিনের থেকে রাতের দিকে তাপমাপা বেশি কমছে। তাই বেশি শীত অনুভ‚ত হচ্ছে।
অন্যদিকে, শীতের কারণে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগির সংখ্যা। ঠান্ডাজনিত রোগে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেশি রোগি ভর্তি হচ্ছেন। বিশেষ করে নবজাতক শিশু এবং বয়স্ক মানুষ বিভিন্ন রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম ফেরদৌস জানান, তীব্র শীতের ফলে অনেক নবজাতক নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, কোল্ড ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিতে ভীড় করছেন।
তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) উপজেলা সংবাদদাতা জানান : হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় গরম কাপড়ের অভাবে দরিদ্র লোকজন রাস্তার পাশে খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। বাড়ি থেকে বাইরে যেতে পারছে না বয়স্করা। এদিকে শিশুরা শীত জনিত নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছে। গতকাল সকালে ঘনকুয়াশা থাকার কারণে জেলার বিভিন্ন সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রহিদুল ইসলাম জানান, গত কয়েক দিন ধরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা উঠা-নামা করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।