নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ওয়ানডেতে গত বছরটি স্বপ্নের মতোই কেটেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। গত যুব বিশ্বকাপের পর থেকে ৩৩টি ওয়ানডে খেলে ১৮টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। হেরেছে ৮টিতে, টাই হয়েছে একটি, পরিত্যক্ত হয়েছে ছয়টি ম্যাচ। তিন বিভাগেই ভালো করে মেলে এই সাফল্য। আরেকটি বিশ্বকাপের আগে সেই ধারা বজায় রাখতে আশাবাদী বাংলাদেশ।
গত জানুয়ারিতে দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে শুরু। সেই ধারা বজায় ছিল জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজেও। গ্রæপ পর্বে ভারতকে হারিয়ে, আসরজুড়ে ইংলিশদের গুড়িয়ে ফাইনালে উঠেও একটুর জন্য হাতছাড়া হয় শিরোপা। পরের মাসে এশিয়া কাপে এসেও সেই ধারা ছিল অব্যাহত। তবে শ্রীলঙ্কার মাটিতে হওয়া ফাইনালে এসে সেই ভারতের কাছেই আরেকটি স্বপ্নভঙ্গের বেদনা। সেই ‘চোটে’ খান খান হয়ে যাওয়া হৃদয় নিয়ে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করে টাইগার যুবারা।
তার ধারাবাহিকতা ছিল দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কাকে এনেও। ৫ ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশের আনন্দ! সেই আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করে আরো বড় স্বপ্ন নিয়ে আকবর আলীর দল উড়াল দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এবার বিশ্বকাপের মঞ্চ। পচেফস্ট্রুমে এক সপ্তাহের ক্যাম্প শেষে অন‚র্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জে মুখোমুখি হতে এবার সম্প‚র্ণ প্রস্তুত বাংলাদেশ। অধিনায়ক আকবর আলী জানিয়েছেন, এবারের আসরকে তারা দেখছেন নিজেদের দক্ষতা দেখানোর মঞ্চ হিসেবে। তার বিশ্বাস, সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে থাকা সম্ভব।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৭ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টে খেলতে ৩ জানুয়ারি ঢাকা ছাড়ে বাংলাদেশ অন‚র্ধ্ব-১৯ দল। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পচেফস্ট্রুমে একটি ক্যাম্প করেছে তারা। গতপরশু জোহানেসবার্গে নিউজিল্যান্ড ও কানাডার অধিনায়কের সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আকবর জানান নিজেদের লক্ষ্যের কথা, ‘এখানে খেলতে পেরে ভালো লাগছে। আমি মনে করি, বিশ্বকে আমাদের দক্ষতা দেখানোর এটি দারুণ সুযোগ। আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। এখন মুখিয়ে আছি এই বৈশ্বিক আসরে খেলার জন্য। আমাদের স্কোয়াড বেশ ভারসাম্যপ‚র্ণ, ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং, তিন বিভাগই ভালো অবস্থানে আছে। আমাদের দলের সবাই খুবই প্রতিভাবান। আমি কারও নাম নিতে পারব না। আমরা যদি সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারি, তাহলে আমরা টুর্নামেন্টের শেষের দিকে যেতে পারব।’
নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১৮ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২১ জানুয়ারি খেলবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। ২৪ জানুয়ারি গ্রæপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আকবরদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। আপাতত কেবল জিম্বাবুয়েকে নিয়েই ভাবছেন আকবর, ‘এটি ম্যাচ ধরে ধরে খেলার বিষয়। জিম্বাবুয়ে ভালো দল। আমরা ওদের সবশেষ সিরিজটি দেখেছি। ওদের হারাতে হলে আমাদের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে।’
১৩ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এক দিন পর দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ডের। চার গ্রæপের খেলা শেষে ২৮ থেকে ৩১ জানুয়ারি হবে চারটি কোয়ার্টার-ফাইনাল। ৪ ও ৬ ফেব্রæয়ারি হবে দুটি সেমি-ফাইনাল। ৯ ফেব্রæয়ারি হবে ত্রয়োদশ আসরের ফাইনাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।