Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পাবলিক পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধের আওতামুক্ত রাখার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২০, ৪:৩০ পিএম

পাবলিক পরীক্ষার সময় ফ্রিল্যান্স কোচিংগুলো খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে ফ্রিল্যান্সিং কোচিং মালিকদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশন বাংলাদেশ (অ্যাসেব)। সংগঠনটির আহ্বায়ক মো: ইমাদুল হক বলেন, বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সময় অধিকাংশ স্কুল-কলেজের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকে। কোচিংগুলোও বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। এতে পড়ালেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় ছাত্রছাত্রীরা। দিশেহারা হয়ে পড়েন অভিভাবক মহল। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সমাধান চায় ফ্রিল্যান্সারদের সংগঠন অ্যাসেব। রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অ্যাসেবের আহ্বায়ক বলেন, বর্তমান সরকারের হাত ধরে শিক্ষা খাতে আমরা বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করতে পারলেও বর্তমান দশকে শিক্ষাক্ষেত্রে একটি সমস্যা আমাদের অনেক ভুগিয়েছে- সেটা হল প্রশ্নফাঁস। বিভিন্ন ধরণের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এই প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে তার মধ্যে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখাও একটি। যদিও প্রশ্ন তৈরি, বিতরণ, সরবরাহ কোন প্রক্রিয়ার সাথেই কোচিং সেন্টার জড়িত না।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, ২০১৮ সালে ২৫ জানুয়ারি প্রথমবারের মত এসএসসি পরীক্ষার সময় সরকারের পক্ষ থেকে কোচিং বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সরকারের নির্বাহী আদেশে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখি। কিন্তু দৃশ্যমান ফল হলো সে বছর বিগত সময়ের মতই প্রশ্নপত্র ফাঁস অব্যাহত থাকে। আবার ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে পিইসি পরীক্ষার সময় সরকার কোচিং বন্ধ ঘোষণা করেন নি, আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোও খোলা ছিল, কিন্তু কোনো প্রশ্নফাঁস হয়নি। এর থেকে এটা সহজেই অনুমেয়, ফ্রিল্যান্সারদের দ্বারা পরিচালিত ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সাথে প্রশ্নফাঁস হওয়া সম্পর্কযুক্ত নয়। ফলে আমরা বলতেই পারি প্রশ্নফাঁসের জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই।

এসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশনের পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রীর নিকট অনুরোধ জানিয়ে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বলেন, বৃহত্তর স্বার্থে ছায়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটা সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসা হোক যাতে পাবলিক পরীক্ষার সময়ও বন্ধ রাখতে না হয়। এতে করে বৈষম্য হ্রাস পাবে, শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে না এবং মেধাবী তরুণরাও এই সেক্টরে আসতে উৎসাহিত হবে। সেক্ষেত্রে, ছায়াশিক্ষা এন্টারপ্রিনিয়রশিপের অনেক ভাল একটা ক্ষেত্র হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান সোহাগ। অন্যান্যদেরে মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শামসেয়ারা খান ডলি, মাহবুব আরেফিন, আকমল হোসাইন, পলাশ সরকার প্রমুখ।



 

Show all comments
  • Kamrul islam sagar ১২ জানুয়ারি, ২০২০, ৮:০৪ পিএম says : 0
    Hope government will take a proper step to solve the mighty problem
    Total Reply(0) Reply
  • Kamrul islam sagar ১২ জানুয়ারি, ২০২০, ৮:০৫ পিএম says : 0
    Hope government will take a proper step to solve the mighty problem
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ