পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় একটি বাড়িতে জাল টাকার তৈরী কারখানায় অভিযান চালিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তারা। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ধানমন্ডির ৭/এ ১০ নম্বর বাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় এ ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে আটকসহ কয়েক কোটি টাকার জাল নোট এবং ১০ কোটি টাকার জাল টাকা তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
অভিযান শেষে ঘটনাস্থলে ব্রিফ করে এসব তথ্য জানান, র্যাব ১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি কাইমুজ্জামান খান। আটকরা হলেন- সাইফুল ইসলাম (৩০) ও শাহ আলম (৪০)।
কাইমুজ্জামান জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে শাহ আলম নামের এক ব্যক্তি আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় ধানমন্ডির জাল টাকার কারখানার সন্ধান দেয় সে। তার দেওয়া তথ্যমতে গতকাল সকালে ধানমন্ডির ওই বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। ওই বাসার তৃতীয় তলায় একটি ফ্লাটে তারা জাল টাকা তৈরী করত।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, জাল টাকা তৈরীর চক্র দীর্ঘ দিন থেকে এ কাজে জড়িত। চক্রটি বিপুল পরিমান জাল টাকার নোট বাজারে ছেড়েছে। তবে এই চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
র্যাব ১০ এর অধিনায়ক আরো জানান, আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের ভাষ্যমতে ২০০০ সাল থেকে তারা জাল টাকা তৈরী করে আসছে। তবে ধানমন্ডির ওই বাসাতে তারা ৫ বছর থেকে জাল টাকা তৈরী করে আসছি। ওই এলাকাটা একদম নিরিবিলি জানিয়ে কাইমুজ্জামান বলেন, যে ফ্ল্যাটে জাল টাকা তৈরী করা হত সেখানে একটি পরিবারের ৫ সদস্য বসবাস করত। তবে গতকাল অভিযানের সময় পরিবারের কিছু সদস্য সেখানে ছিল না।
ডিআইজি কাইমুজ্জামান জানান, ২০১৪ সালে ধানমন্ডির ওই বাসা ভাড়া করে সাইফুল ইসলাম। দীর্ঘ দিন থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সেখানে বসবাস করত। শুধু তাই নয়, ধানমন্ডি এলাকায়ও সাইফুলের বেশ সুনাম রয়েছে। ভদ্র লোক হিসেবে এলাকার দোকানদার ও আশপাশের বাড়াটিয়ারা চিনত সাইফুলকে। কিন্তু এমন ভদ্র সেজে তিনি কোটি কোটি টাকার জাল নোট তৈরী করতেন। তার হলেই তিনি জাল টাকার কারবারিদের সাথে যোগাযোগ করতেন। তার বাসায়ও আসতেন অন্য জাল টাকার ব্যবসায়ীরা। তিনি জানান, সাইফুলের বাসা তল্লাশি করে ওয়্যারড্রব এবং খাটের নিচ থেকে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম হিসেবে কাগজ, প্রিন্টার, টোনার, কেমিক্যাল, ডায়াচসহ টাকা তৈরিতে যা লাগে সব পাওয়া যায়। সাইফুল ও শাহ আলশ আগে কখনো গ্রেফতার হয়েছিল কি না জানতে চাইলে র্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা এখন নিশ্চিত না তারা এর আগে আটক হয়েছিল কিনা। তবে আমাদের যে অপরাধীর ডাটা বেজ আছে সেটা পর্যালোচনা করে বলা সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।