Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

শীতের প্রকোপ বৃদ্ধির পূর্বাভাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০৩ এএম

আকাশ মেঘলা অথবা আংশিক মেঘলা অবস্থায় গতকালও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেই সাথে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে হিমেল হাড় কনকনে হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ছে মাঝরাত থেকে সকাল অবধি। এতে করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শীতজনিত রোগব্যাধির প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে।
‘শীত নামানো’ পৌষের শেষ প্রান্তের এই অকাল বৃষ্টিপাতের পর তাপমাত্রার পারদ আবারও হ্রাস এবং শীতের প্রকোপ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল, মাদারীপুর, কুমিল্লা, খুলনা, সাতক্ষীরা, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায় ১ থেকে ২ মিলিমিটার হালকা বৃষ্টিপাত এবং আরও কয়েক জায়গায় গুঁড়িবৃষ্টি ঝরেছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তেঁতুলিয়ায় ৯.৭ ডিগ্রি সে.। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৪.৪ এবং সর্বনিম্ন ১৪.৪ ডিগ্রি সে.।

আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকারই সম্ভাবনা। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস এবং দিনের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে। এর পরের ৫ দিনেও আবহাওয়ার তেমন বেশি হেরফের নাও হতে পারে।

বর্তমানে উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ ভারতের বিহার হয়ে সরে এসে পশ্চিমবঙ্গ এবং এর সংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিরাজ করছে। এরফলে বাংলাদেশের দিকে ফের এগিয়ে এসেছে শীতের বলয়টি।
আবার মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এরফলে বিক্ষিপ্ত ও আংশিক মেঘলা আকাশ এবং বাতাসের সঙ্গে থাকতে পারে বেশি মাত্রায় জলীয়বাষ্প বা আর্দ্রতা। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকার বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার হার ছিল ৭১ শতাংশ। যা ধূলিময় কুয়াশা এবং কনকনে ঠান্ডা হাওয়ার অন্যতম কারণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শীত

৩১ জানুয়ারি, ২০২৩
৬ জানুয়ারি, ২০২৩
৫ জানুয়ারি, ২০২৩
৫ জানুয়ারি, ২০২৩
৩ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ