২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
কিছুক্ষণ আগে কী করলেন অনেক সময় মনে থাকে না। কিংবা সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম কোন কাজটি করেছেন কিছুই মনে থাকে না। অনেকেই পড়ছেন এমন সমস্যাগুলো মূলত দুর্বল স্মৃতিশক্তির কারণে হয়ে থাকে। তবে আপনার কিছু বাজে কারণেই প্রতিনিয়ত আপনার মূল্যবান স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আপনি হয়তো বুঝতেও পারছেন না। তাই এখনই জেনে নিন, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার পেছনে যে কাজগুলো মূলত দায়ী। ১) অতিরিক্ত মানসিক চাপ- অনেকেই বলবেন মানসিক চাপ কেউ ইচ্ছে করে নেয় না। কিন্তু একেবারেই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে চাপ নেয়ার ভুল কাজটি কিন্তু আপনিই করেন। কারণে অকারণে অতিরিক্ত মানসিক চাপ নিয়ে থাকেন এবং দুশ্চিন্তা করতে থাকেন। অতিরিক্ত মানসিক চাপের অর্থ মস্তিষ্কের ওপর অনেক বেশি মাত্রায় চাপ ফেলা। এতে করেও স্ট্রেস হরমোন কারিসোলের নিঃসরণ ঘটে, যা মস্তিষ্কের নিউরনের মধ্যকার সংযোগে ব্যাঘাত ঘটায়। তাই মানসিক চাপ নিয়ে লাভ হচ্ছে না, বরং ক্ষতিই হচ্ছে আপনার। ২) কম ঘুমানো এবং রাত্রি জেগে থাকা- ইচ্ছে হলেই রাত জেগে থাকা, ঘুমানোর খুব প্রয়োজন না-হলে ঘুমুতে না-যাওয়া, কাজের প্রয়োজন হলেও কম ঘুমানোর কারণে আপনি প্রতিনিয়ত নষ্ট করছেন আপনার স্মৃতিশক্তি। গবেষণায় দেখা যায়, ঘুম আমাদের মস্তিষ্কের সিন্যাস্টিক প্লাস্টিসিটি উন্নত করে, ফলে মস্তিষ্কের সিন্যান্স দুর্বল হয়ে পড়ে যা নিউরনের সংযোগে ব্যাঘাত ঘটায়। ফলে ধীরে ধীরে আমরা হারাতে থাকি স্মৃতিশক্তি। তাই ঘুমকে অবহেলা নয়, পর্যাপ্ত ঘুমান প্রতিদিন। অর্থাৎ অন্তত ৬-৯ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন। ৩) ধূমপান-অনেকের মতে সৃজনশীল কাজের জন্য ধূমপান করা হয়ে থাকে। যার কারণে লেখক, গায়ক, ছবি আঁকিয়ে, বাদকদেরকে ধূমপানে আসক্ত হতে দেখা যায়। এই ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ভুল। গবেষণায় দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধূমপানের ফলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে। কারণ ধূমপানের ফলে আমাদের হৃৎপি- মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহের ক্ষমতা ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলে। এতে করে মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করে না। এবং প্রথম প্রভাবেই পড়ে স্মৃতিশক্তির ওপর। তাই ধূমপান করে লাভ নয় বরং ক্ষতিই হচ্ছে। এই অভ্যাসটি ত্যাগ করুন। ৪) বিষণœতাকে অবহেলা করা-বিষণœ হতেই পারেন যে কেউই। কিন্তু এই বিষণœতা কতক্ষণ ধরে আছেন এবং আসলেই এটি শুধু মন খারাপ থেকে কি না তা নজর করার দায়িত্ব আপনার নিজের। বিষন্নতার সমস্যা অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ অনবরত বিষণœœ থাকার সমস্যা থেকে মস্তিষ্কে ‘কারটিসোল’ নামক হরমোনের নিঃসরণ ঘটে যা মস্তিষ্কের নিউরনের মধ্যকার সংযোগ নষ্ট করে। এতে স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়।
ষ আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।