Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইজতেমা মুখি মুসল্লিদের ঢল অব্যাহত

মো. দেলোয়ার হোসেন | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২০, ৬:০০ পিএম

শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হচেছ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
ইজতেমায় যোগ দিতে মুসুল্লিদের ঢল এখন টঙ্গীর দিকে। তাদের এ ঢল অব্যাহত থাকবে আখেরি মোনাজাতের আগ পযনত। দেশবাসীর নজর এখন টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার দিকে। আয়োজকরা মনে করেছেন এবারের বিশ্ব ইজতেমায় গতবারের চেয়ে কয়েক গুন বেশী মুসুল্লির সমাগম হবে। মুসুল্লিদদের নিরাপওায় নেয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা।

প্রথম দফায় তিনদিনে ইজতেমার শীর্ষ মুরব্বিরা ঈমান ও আমলের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গাজীপুরে কয়েক দফা বৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা। ইজতেমায় যোগ দিতে বুধবার থেকেই দলে দলে ইজতেমা ময়দানে আসছেন মসল্লিরা।

টঙ্গী ও ইজতেমা ময়দানের আশ পাশে ঘুরে দেখা গেছে,বিভিন্ন জেলা থেকে বাসে করে এসব মুসল্লি টঙ্গী স্টেশন রোড, চেরাগআলী, উত্তরার কামারপাড়া এলাকায় নেমে হেঁটে ময়দানে এসে নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে একপশলা হালকা বৃষ্টি হয়ে যায় টঙ্গীতে। এতে মুসল্লিরা কিছুটা সমস্যায় পড়েন। সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে এবার যে সব মুসল্লি ময়দানে তাদের খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন তাদের প্রায় সবাই বৃষ্টির বিষয়টি মাথায় রেখে পলিথিন-কাগজ সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে ময়দানে চটের নিচে অবস্থান নেয়া মুসল্লিরা দুর্ভোগে পড়বেন। বিশেষ করে খোলা আকাশের নিচে রান্না-বান্না এবং খিত্তায় অবস্থান করাও কঠিন হয়ে যাবে।

টাঙাইল থেকে আসা মুসুল্লি ইমান উদ্দিন জানান, তার সঙ্গে ১৭ জন সাথী রয়েছে।
সে আরো জানায়, বুধবার রাতে তারা ইজতেমা ময়দানে আসেন। ইজতেমায় আসার উদ্দেশ্য দ্বীনের জন্য মেহনত এবং নিজের ঈমান ও আমলকে মজবুত করা।
এদিকে এবার পুরো ইজতেমা ময়দান এলইডি লাইট দিয়ে সজ্জিত করেছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন। মুসল্লিদের যাতায়তের পথগুলো মেরামত, ময়দান পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হয়েছে। মুসল্লিদের সুবিধার সার্বিক দিক ইজতেমা ময়দানে উপস্থিত থেকে দেখা শোনা করছোন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম।

অপরদিকে ইজতেমা ময়দানের পাশে বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্পগুলো বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
পুরো ইজতেমা ময়দানের চারপাশে সিসি ক্যামেরাগুলো সচল করা হয়েছে। মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে আইন শৃঙ্খখলা বাহিনীর সদস্যরা।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ইজতেমা ময়দান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ মুসল্লিদের সকল ধরণের সেবা প্রদানের জন্য সিটি কর্পোরেশন প্রস্তুত রয়েছে।

বিশ্ব ইজতেমার মাওলানা জুবায়ের অনুসারী মুরব্বি ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান জানান, ময়দানকে মোট ৯২টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। এবার দেশের ৬৪ জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন। তাদের জন্য ৮৭টি খিত্তা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাঁচটি খিত্তা সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে দেশের মুসল্লিদের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেবেন। বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের উত্তর-পশ্চিম পাশে নিবাস তৈরি করা হয়েছে। সেখানে তাদের জন্য গরম পানি, রান্নার জন্য গ্যাস, উন্নত টয়লেটসহ নানা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে আগামী ১৭ জানুয়ারি এবং আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে ১৯ জানুয়ারি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্ব ইজতেমা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ