নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বর্তমান বয়স মাত্র ২৭। ১৭ বছর বয়সে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া তরুণ পেসার আমির এখন বড্ড পরিণত। হবেন ই বা না কেন? এই ছোট্ট জীবনে ইতোমধ্যে দেখে ফেলেছেন জীবনের নানা রঙ, মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। গতি, সুইং দিয়ে এক কিশোর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাড়তে শুরু করে নজর। বছর খানেকের ব্যবধানে বেশ নেতিবাচকভাবেই তার দিক থেকে লোকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে, শুনতে হয় নানা কটু কথা, ক্যারিয়ার থেকে হারিয়ে যায় ৫ বছর, খাটতে হয়েছে জেলও।
২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে কলঙ্কের দাগ লাগে গায়ে। সাজা শেষে ফিরে এসেছেন, পুরোনো ছন্দে কিছুটা পতন হলেও টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট ভালো করেন ফিরে এসেই। মানসিক দৃঢ়তা আর শক্ত মনোবলে বাজে অতীত পেছনে ফেলে ২২ গজে ফিরে আসেন মোহাম্মদ আমির। শাস্তি শেষে ২০১৫ সালেই চট্টগ্রাম ভাইকিংসের হয়ে বিপিএল দিয়ে বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলা শুরু। ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে আমির জানান দেন ফুরিয়ে যাননি, কদিন পরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে ফের জাতীয় দলের দরজাও খুলে যায়।
লম্বা সময় ক্রিকেট থেকে দ‚রে থাকা, গায়ে লেগে যাওয়া কলঙ্ক পেছনে ফেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসার পেছনে আমির কৃতিত্ব দিয়েছেন অনেককেই। দুঃসময়ে পাশে থেকে পিঠ চাপড়ে দিয়ে যারা বলেছে অতীত ভুলে সামনে এগিয়ে যাও তাদের অবদানের কথা অকপটে স্বীকার করেন পাকিস্তানি বাঁহাতি এই পেসার। চলতি বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলা এই পেসার জানান, ‘অনুপ্রেরণা অনেকেই ছিল, অনেক বন্ধুবান্ধব, আমার পরিবার সবসময় আমার সাথেই ছিল। আমার যে আইনজীবী ছিল তাদের অবদানও অনস্বীকার্য। তারা আমাকে বলতো মানসিকভাবে দৃঢ় হও, মানসিকভাবে শক্ত হতে পারলে তুমি যেকোন কিছুই করতে পারবে। আর আমার স্ত্রী, সে সবসময় আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে। যেকোন কিছু সে ইতিবাচকভাবে নিতে পারে। সে আমার খারাপ সময়ে বেশ স্বাভাবিকভাবে আমাকে সাহস জুগিয়েছে। তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
দলে ফিরে আসার আগে এবং পরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড, দলের তখনকার অধিনায়ক আফ্রিদি, সাবেক তারকা পেসার শোয়েব আখতার এমনকি দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও তাকে সমর্থন জুগিয়েছে বলে জানান বাঁহাতি এই পেসার, ‘ইমরান খান যে বর্তমানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। সে সবসময় আমাকে সমর্থন দেয়। শোয়েব আখতার, শহীদ আফ্রিদিও বেশ সমর্থন দিয়েছে। আমি যখন ফিরে আসি তখন সে আমাকে আগলে রাখতো। ওয়াকার ইউনুস ও ক্রিকেট বোর্ডও আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল।’
স্পট ফিক্সিং কান্ডের পর ইংল্যান্ডের নিজস্ব আইনে সাজা ভোগ করতে হয় আমিরকে। বছর দুয়েক কাটাতে হয়েছে জেলেও। ওই সময়টায় তার আইনজীবিদের সাহায্য, অনুপ্রেরণাই তাকে মানসিকভাবে শক্ত থাকতে সাহায্য করে উল্লেখ করে আমির যোগ করেন, ‘আমার আইনজীবীরা, তারা আমার সাথে এমন আচরণ করেছে যেন আমি তাদের সন্তান, তাদের সাথে আবেগঘন সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তারা আমাকে ভালো পরামর্শ দিত সবসময় আমি যখন ২০১০ সালে ইংল্যান্ডে ছিলাম। তাদের অবদানে আজ আমি ফিরে এসেছি। আমাকে আমার স্ত্রীর কথাতো বললামই, তারা আমার খারাপ সময় ভুলে যেতে সাহায্য করছে। আমার জীবনে তাদের ভ‚মিকা অনন্য।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।