নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গত মাসে নেপালে শেষ হওয়া ১৩তম সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে বাংলাদেশের প্রথম স্বর্ণপদকটি আসে তায়কোয়ান্ডোকা দিপু চাকমা’র হাত ধরে। তিনি গেমসের তায়কোয়ান্ডো ডিসিপ্লিনের পুমসে ইভেন্টে সোনা জিতে দেশের মান বাড়ান। পরে তার দেখানো পথেই হাঁটেন লাল-সবুজের অন্য ক্রীড়াবিদরা। তাদের সাফল্যে আরো ১৮ বার নেপালে বেঁজে ওঠে ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। ফলে নেপালে ১৯ সোনা জিতে এসএ গেমসে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্বর্ণ জয়ের সাফল্য তুলে নেয় বাংলাদেশ।
যে ডিসিপ্লিন থেকে এবারের এসএ গেমসে প্রথম স্বর্ণপদকটি আসে, সেই তায়কোয়ান্ডোর এক সোনাজয়ী ও ১০ ব্রোঞ্জজয়ীকে মঙ্গলবার বিশেষ সংবর্ধনা দিলো বাংলাদেশ তায়কোয়ান্ডো ফেডারেশন। এদিন দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জিমন্যাসিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পদকজয়ী তায়কোয়ান্ডোকাদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। এ সময় বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু, তায়কোয়ান্ডো ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মোর্শেদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম রানাসহ অন্যান্য ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনা পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত দিপু চাকমা। নিজের অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন,‘এই সংবর্ধনা আমাকে আরো এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। ভবিষ্যতে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন,‘ শুধু তায়কোয়ান্ডোই নয়, অন্য যেসব ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়রা এবার নেপাল এসএ গেমসে পদক জিতেছেন আমি তাদের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।’ তিনি যোগ করেন,‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসএ গেমসে পদকজয়ীদের সংবর্ধনা দেবেন। তবে কবে নাগাদ দেবেন তা আগামীকাল (আজ) জানাবেন তিনি।’
রাসেল আরো বলেন,‘আমাদের দেশে অনেক ভাতাই চালু রয়েছে। কিন্তু ক্রীড়াবিদদের জন্য সরকারীভাবে কোন ভাতার ব্যবস্থা নেই। তাই আমরা খেলোয়াড়, সংগঠক ও খেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জন্য মাসিক ভাতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া আমরা খুব শিঘ্রই শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারের প্রবর্তন করবো।’
কেবল নেপালই নয়, ২০০৬ সালে কলম্বো এসএ গেমসে সোনাজয়ী মিজানুর রহমান এবং ২০১০ সালে ঢাকা এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী দুই নারী ক্রীড়াবিদ শারমীন ফারজানা রুমি ও শাম্মী আক্তারের হাতেও ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। সংবর্ধনা সব সময়েই একজন ক্রীড়াবিদকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে বলে মনে করেন মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘একজন ক্রীড়াবিদের জন্য বড় সম্মানের বিষয় সংবর্ধনা। এমন সম্মান পেলে আমরা উৎসাহিত হই।’ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রানা বলেন, ‘নেপাল এসএ গেমসে আমরাই প্রথম স্বর্ণ উপহার দিয়েছি দেশকে। আর আমরাই প্রথম সংবর্ধনা দিয়েছি ক্রীড়াবিদদের। এই সম্মাননা আমাদের তায়কোয়ান্ডোকাদের আগামীতে আরো পদক জিততে উদ্বুদ্ধ করবে বলেই আমার বিশ্বাস।’ এবারের এসএ গেমসে ১০ ব্রোঞ্জজয়ীরা হলেন- ৬৭ কেজিতে সালমা খাতুন, ৮৭ কেজিতে রাসেল খান, পুমসে এককে কামরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, আনিকা আক্তার, নুর নাহার আক্তার, পুমসে পুরুষ দলগতে কামরুল ইসলাম, নুরউদ্দিন হোসেন ও শিশির আহমেদ জয়, পুমসে নারী দলগতে আনিকা আক্তার, রুমা খাতুন ও সুমাইয়া ইমরোজ, পুমসে মিশ্রতে দিপু চাকমা ও মৌসুমী এবং মেহেদী হাসান ও নুর নাহার আক্তার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।