Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকারের জবাবদিহিহীনতায় ধর্ষণ-নির্যাতনের মূল কারণ -আমীর খসরু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০২০, ৬:৩৯ পিএম

সরকারের জবাবদিহিতা না থাকায় বাংলাদেশে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্য যেকোন দেশে একটি ধর্ষণ হলে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। সরকারকে প্রতি পদে পদে জবাবদিহি করতে হয়। কিন্তু আজ বাংলাদেশে সেই জবাবদিহিতা অনুপস্থিত। আর এটাই হচ্ছে ধর্ষণের মূল কারণ। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। শিশু থেকে শুরু করে যুবতি, বিবাহিত মহিলা এমনকি বৃদ্ধা পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। এসকল ধর্ষণের পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- সরকারের জবাবদিহিতা না থাকা। কোনও ধরনের জবাবদিহিতা আজকে সরকারের নাই। সরকার প্রয়োজনও মনে করছে না।

তিনি বলেন, যখন আপনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন, তখনই জবাবদিহিতার প্রশ্নটা আসে। আজকে যারা ক্ষমতা দখল করে আছে, এই অনির্বাচিত সরকারের জনগণের প্রতি কোনও জবাবদিহিতা নাই। সুতরাং যেখানে জবাবদিহিতার প্রশ্ন থাকবে না, সেখানে অব্যাহতভাবে ধর্ষণ চলবে।

সরকারের কাছে মানবাধিকার বলে কিছু নেই মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশকে আজকে বিশ্বের সামনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি উদাহরণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। পদে পদে মানবাধিকার লংঘন চলছে। যাদের নির্বাচনের জন্য ভোটের দরকার হয় না, তাদের কাছে মানবাধিকার বলতে কিছু নেই।

ইভিএমের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে অভিযোগ করে আমীর খসরু বলেন, ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে পূর্বনির্ধারিত স্বয়ংক্রিয়ভাবে নীরবে, নিঃশব্দে মানুষকে প্রতারিত করে তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আবারও ক্ষমতা দখলের নতুন রাস্তা তারা বের করেছে। সুতরাং তাদের জনগণের কাছে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই, জবাবদিহিতার কোনও প্রয়োজন নেই। যে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হবে সেখানে তো ধর্ষকদের স্বর্গরাজ্য হবেই।

সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পুরোপুরিভাবে ব্যবহার করছে অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পুরোপুরিভাবে ব্যবহার করছে শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য। এই লোকগুলো (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) এখন মানুষের স্বার্থ কিভাবে রক্ষা করবে? আপনি (সরকার) যদি ক্ষমতায় থাকার জন্য তাদের ব্যবহার করেন, তাহলে তারা তাদের দায়িত্ব কীভাবে পালন করবে? এটা কখনও সম্ভব না। সুতরাং আগামীতে যে নির্বাচনটি হতে যাচ্ছে ঢাকা মহানগরীতে সেটিকে আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আমীর খসরু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ