পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদেশিদের বক্তব্য সরকারের পক্ষে যায়নি এজন্যই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, কূটনীতিকরা বলতেছেন, গণমাধ্যমকর্মীরা বলতেছেন, মানবাধিকারকর্মীরা বলতেছেন, জাতিসংঘ বলতেছে, সবাই বলতেছেন। এটা তাদের বিপক্ষে যাচ্ছে। তাই তাদের মাথাব্যথা। যদি তাদের পক্ষে যেত, তাহলে শুনতেন।
গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জিয়া পরিষদের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘দেশনায়ক তারেক রহমানের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, কোনো কিছু তো তাদের পক্ষে আসতেছে না। সব তাদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। যাওয়ার মতো কাজ করেছে দেখেই তো যাচ্ছে। এখানে বিএনপির কোনো দোষ নেই। আমাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে লাভ নেই।
তিনি বলেন, এটা তো বিদেশিদের দায়িত্ব। এখানে যারা বসে আছে, কূটনীতিক অফিসগুলো, এটা তাদের চাকরির অংশ। তাদের কাজের অংশ হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতির অবস্থা, মানবাধিকার, অধিকারের অবস্থা কী, বাক্স্বাধীনতা, গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক কী অবস্থা দেখা। সার্বিক রিপোর্ট তাদের হেডকোয়ার্টারে পাঠাতে হয়। রিপোর্ট যদি করতে হয়, তাহলে তো বাংলাদেশে জনগণের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের হয়তো বিবেক নেই, উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, কিন্তু বিশ্ব বিবেক বলে তো একটা কথা আছে। আমরা তো সার্বজনীন জাতিসংঘের মানবাধিকার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছি। এসব অন্যায় ঢেকে রাখা কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়।
বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, আবার বলবেন বিএনপি এ জন্য তদবির করছে। এখন আমি যদি বলি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে বলার জন্য তদবির করছেন। ক্ষমতায় রাখতে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গিয়ে তদবির করছেন। আবার কূটনীতিকদের ডেকে বিএনপির বিরুদ্ধে বিষেদাগার করেন। তারপরও যদি আপনারা মনে করেন তাঁদের (কূটনীতিকদের) কোনো দায়িত্ব নেই বলার, তাহলে কেন আপনার এগুলো করেন? এই কথাগুলো আমরা বলব, বিশ্বের মানুষ বলবে, সবাই বলবে। এখানে পানি ঘোলা করার কিছু নেই।
তিনি বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। যে সমাবেশগুলো করেছে এগুলো তাদের সাংবিধানিক অধিকার। সুতরাং ঢাকা শহরে ১০ তারিখে সমাবেশ হবেই হবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হচ্ছে আমার সাংবিধানিক অধিকারকে সুরক্ষা দেয়া এবং তারা বিএনপি এবং দেশের জনগণকে সুরক্ষা দিবে।
জিয়া পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও প্রফেসর আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, জিয়া পরিষদের প্রফেসর ড. মো. লুৎফর রহমান, ড. মো. এমতাজ হোসেন, আব্দুল্লাহিল মাসুদ, সাইফুর রহমান মিহির, প্রফেসর ড. কামরুল আহসান, প্রকৌশলী রুহুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।