Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সরকার কূটনীতিকদের মধ্যে ভয়-ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে : সাংবাদিকদের আমীর খসরু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সরকার ক‚টনৈতিকদের মধ্যে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে অবৈধ’ ক্ষমতাকে অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশের মানুষকে তারা যেভাবে ভয়-ভীতির মাধ্যমে চেপে রাখতে চাচ্ছে, এখন ক‚টনীতিকদের মধ্যে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে ভিন্ন পরিবেশ সৃষ্টি করে এই অবৈধ, দখলদার সরকার অব্যাহতভাবে ক্ষমতা থাকার চেষ্টা করছে। এটাই তো প্রমাণিত। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনায় গভীর উদ্বেগের বিষয় উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, একজন ক‚টনীতিবিদ একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে গেছেন। সেখানে যাওয়ার পর সরকারি দলের মদদে ও সহযোগিতায় কিছুলোক একটি প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে সেখানে উপস্থিত হওয়াটাই তো আইন বিরোধী। যে কোনও ব্যক্তির অনুষ্ঠান করার স্বাধীনতা আছে। কিন্তু আরেকটা অনুষ্ঠানে গিয়ে সেটাকে অনেকটা বাধাগ্রস্ত করার যে প্রক্রিয়া সেটা অগণতান্ত্রিক।

সরকার তাদের (মায়ের কান্না সংগঠন) বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, কিন্তু সেটা তো আমরা দেখিনি। দেশের মানুষের সঙ্গে বিদেশি, ক‚টনৈতিকদের নিরাপত্তা যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয় একটি দেশে, সেই দেশে সত্যিকারের চরিত্র কি সরকারের এ সমস্ত কর্মকাÐের মাধ্যমে প্রতিফলন ঘটছে। সরকারের মদদ ও সহযোগিতা যে এই ঘটনা ঘটেছে। এটা সরকারের মন্ত্রীদের কথাবার্তায় পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের একটি ঘটনাকে তারা পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তারা চাচ্ছে এই ধরনের ঘটনা ঘটুক। সেখানে একটা ভয়-ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি হোক।

তিনি আরও বলেন, এ রকম ঘটনা আমরা আগেও দেখেছি। সরকারি দলের মদদে এবং সরকারের মদদে কিছু লোক আগেও আমেরিকার একজন সাবেক রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট একটি নৈশভোজে গিয়েছিলেন, সেখানে ভাঙচুর করেছে। এর আগে গুলশানের একটি হোটেলে বিএনপির একটি মানবাধিকার অনুষ্ঠানে সেখানে তারা একই লোক (মায়ের কান্না) সেখানে বাইরে উপস্থিত হয়ে সেটা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। এই যে একটি অনুষ্ঠান হলো, সেখানে গিয়ে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা সরকারি মদদে, এটা তো আওয়ামী লীগের চরিত্রে পরিণত হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এতোদিন ছিল বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তাহীনতা, এখন দেখা যাচ্ছে ক‚টনীতিকদের নিরাপত্তাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এই দেশগুলোর সরকারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। তাদের সঙ্গে আমাদের বড় বাণিজ্য আছে, বহুবিধ গভীর সুসম্পর্ক আছে। ক‚টনীতিকদের নিরাপত্তাহীনতার যে প্রতিফলন, এটা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিদেশে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সরকার বলছে অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকে বলা হয়নি- এ বিষয়টি উল্লেখ করে খসরু আরও বলেন, এটার অর্থ হচ্ছে সরকারকে না বলে কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়া যাবে না। এটা কোথায় আছে। আর রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও তো পুলিশ আছে। সরকার অবগত আছে। আর যদি বলাও না হয়ে থাকে, তাহলে সরকারকে না বলে কোথাও গলে সেই মানুষগুলো নিরাপত্তা পাবে না এটা হতে পারে নাকি? তাদের বলে গেলে আপনি নিরাপত্তা পাবেন, না বলে গেলে নিরাপত্তা পাবেন না, এটা কি একটা দেশের নিরাপত্তার চরিত্র তার ব্যত্যয় ঘটছে না।
সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের গাড়িতে আক্রমণ করে ভাঙচুর করেছে বলে উল্লেখ করে খসরু বলেন, তার গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় পরবর্তী সময়ে ফলোআপ হয়নি। তারও কোনও বিচার হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আমীর খসরু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ