পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে নারী-শিশু নির্যাতন বছর বছর বেড়েই চলছে। গত ২০১৮ সালে নারী শিশু বৃদ্ধাসহ ৩ হাজার ৯১৮টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। আর ২০১৯ সালে প্রায় ৪ হাজার নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার মধ্যে মাত্র নুসরাত হত্যার বিচার হয়েছে। বাকি একটিরও সুষ্ঠু বিচার কিংবা তদন্তের অগ্রগতি দেখা যায়নি। ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে নিতে হবে। গতকাল সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এ দাবি জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
নারী নির্যাতনের বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে নেয়ার দাবি জানিয়ে ডা. ফওজিয়া বলেন, যে হারে নারী নিপীড়ন, নির্যাতন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে তাতে আমরা শঙ্কিত। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এসব ঘটনা বাড়ছে। নারী নির্যাতনের বিচার দ্রুত বিচার আইনে করা গেলে এর আইনগত প্রতিকার কিছুটা হলেও মিলবে। তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার নারী কেন প্রমাণ করবে তিনি ধর্ষিত হয়েছেন। যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তাকেই প্রমাণ করতে হবে যে তিনি ধর্ষক নন। আমরা এই সংস্কৃতির পরিবর্তন চাই।
সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের এই ঘটনা মেনে নেয়া যায় না, হতে পারে না। এভাবে যদি একের পর এক নারী নির্যাতনের বিচার না পাওয়া যায়. তাহলে ভবিষ্যতে আমার ওপর কিংবা অন্য কোনো নারীর ওপর নির্যাতনের বিচারও আমরা পাব না। দেশের বিচারহীনতার যে সামাজিক বলয় সৃষ্টি হয়েছে, তাতে নিরাপত্তাহীনতার পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় নেত্রী রেখা চৌধুরী বলেন, দেশের ঐতিহ্যের ক্যাম্পাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হলেন। ক্রমাগত নারী নির্যাতন বেড়েই চলেছে। এ কারণ বিচারহীনতা। আমরা তনু হত্যার বিচার পাইনি, সাগর-রুনি হত্যার বিচার পাইনি। তবে প্রধানমন্ত্রীর ইনিশিয়েটিভের কারণে হয়তো দ্রæতই আমরা নুসরাত হত্যার বিচার পেয়েছি।
ঢাকা মহানগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাহানা বলেন, স্বাধীন দেশে নারীও স্বাধীনভাবে চলবে, এটাই স্বাভাবিক। রাষ্ট্রে যে উন্নয়নের জোয়ার সেখানে নারীদের অংশগ্রহণ রয়েছে, কিন্তু নারীর প্রতি যে সহিংসতা তা বন্ধ করা যায়নি। নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে যা যা দরকার তা কিন্তু এই রাষ্ট্র ও সমাজ দিতে পারেনি। মানববন্ধনে উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর শাইখ ইমতিয়াজ, একই বিভাগের শিক্ষার্থী সুয়িলা সাফারা, লিগ্যাল অ্যাডভোকেসির পরিচালক অ্যাডভোকেট মাকসুদ আক্তার, জনা গোস্বামী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।