বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ছাত্রলীগ করেও ছাত্রশিবিরের ১৬ মামলার আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এক ছাত্রলীগ সদস্য। মানবেতর জীবন যাপন করছেন পরিবার পরিজন। স্থানীয় নেতাদের সুপারীশ নিয়েও কাজ হচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তার পরিবার। ঘটনাটি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার মির্জাপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে রফিকুল ইসলামের।
জানা যায়, রফিকুল ইসলাম রৌমারীতে থাকাকালীন রৌমারী সিজি জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ও যাদুরচর ডিগ্রী কলেজে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ছিল। সে গত ২০১১ সালে ঢকায় সিটি ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়। পরে বসবাসের জন্য ১ সেপ্টেম্বর ১১ সালে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ীর কাছে একটি ছাত্রাবাসে ওঠে। ওই মাসের ১৯ তারিখে রাতে আকস্মিকভাবে পুলিশ ওই মেসে অভিযান চালায়। সে সময় শিবির সন্দেহে রফিকুল ইসলামসহ ৩১জনকে আটক করে পুলিশ। পরে পল্টন মডেল থানায় নিয়ে গিয়ে দুটি মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠায়। এরপর থেকে পল্টন মডেল থানায় ২টি মতিঝিল থানায় ১১টি ও তেজগাঁও থানায় ১ টিসহ তার নামে ১৬টি মামলা করে পুলিশ।
ওই ছাত্রলীগ কর্মির বিরুদ্ধে উল্লেখিত মিথ্যা মামলায় হয়রানি এবং তার পরিবার পরিজনের মানবেতর পরিস্থিতি নিয়ে রৌমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম বাদলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, যেহেতু মামলাগুলো ঢাকায় চলমান সেইহেতু স্থানীয়ভাবে আমাদের সুপারিশ করা ছাড়া আর কিছু করার নেই। এ বিষয়ে দলীয় ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের স্মরণাপন্ন হওয়াই উত্তম।
মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার রফিকুলের বড় ভাই আমজাদ হোসেন বলেন, ‘প্রথম দুই মামলায় স্থানীয় আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনসহ সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের সুপারিশ ও পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে রফিকুল ইসলাম জামিনে মুক্তি পায়। পরবর্তীতে একের পর এক মামলা হওয়ায় আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই। একাধিক মামলায় হওয়ায় আর্থিক যোগান দিতে না পারায় ছোট ভাই রফিকুল পালিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমার বৃদ্ধা মা ছেলের শোকে পাগলপ্রায়। বহুদিন থেকে শয্যাশায়ী। এ মামলাগুলো থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।