পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, এ সরকার ‘নতজানু’ বলে ভারত থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের গ্রহণ করছে।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল আয়োজিত ‘স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার হরণ এবং খালেদা জিয়ার জামিন প্রতিহিংসার বিচারে অবরুদ্ধ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, ভারত সরকারের নাগরিক অধিকার আইনে সবচেয়ে বড় ভিকটিম হবে বাংলাদেশের মুসলমানরা। যারা বহু বছর আগে ভারত চলে গেছেন, ভারতের নাগরিক হয়েছেন, ভোটার হয়েছেন, ভোট দিয়েছেন, আজকে তাদেরকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আমাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এই সরকার এত নতজানু হয়েছে যে, তারা সেটা গ্রহণ করে নিচ্ছেন। প্রতিবাদ করা তো দূরের কথা, তারা এটাকে গ্রহণ করে নিচ্ছেন। এর থেকে লজ্জার কথা বাংলাদেশের মানুষের জন্য আর কিছু হতে পারে না। এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য সব দিয়ে দিয়েছে।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, সিটি নির্বাচন লোক দেখানো নির্বাচন। নির্বাচন সামনে রেখে একদিকে গ্রেফতার আতঙ্ক চলছে। অন্যদিকে চলছে নির্বাচনি প্রচারণা । এই নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রহসন ছাড়া কিছু নয়। তারপরও এই নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করছি। কারণ, আমরা জনমুখী একটি রাজনৈতিক দল। আমরা মনে করি, যদি মানুষ ভোট দিতে পারে, তাহলে ধানের শীষের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জিতবে। কিন্তু সেটা তারা (সরকার) হতে দেবে না। গণতন্ত্রের যে মৃত্যু ঘটেছে এই দেশে, সেটা এই নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হবে। দেখবেন হইচই হবে, মিছিল হবে, নির্বাচনের দুই দিন আগে দেখবেন সব ঠান্ডা। গ্রেফতার চলছে, গত বৃহস্পতিবার আমাদের একজন কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আন্দোলন ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি অথবা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। অনেকেই মনে করেন একটু সফট হলে কিছু একটা হয়ে যেতে পারে। কিন্তু বার বার আমরা দেখতে পাচ্ছি সেটি সম্ভব নয়। এই সরকারের হাত-পা বাঁধা, তারা পারবে না কোনো কিছু করতে।
তিনি বলেন, আমাদের জন্য একটাই পথ। সেটি হচ্ছে আন্দোলন। সেটি যদি আমরা করতে পারি তাহলে সফল হব। আর করতে না পারলে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আমাদের কোনো পথ থাকবে না। তবে আমি মনে করি আমরা ব্যর্থ হতে পারি, এদেশের জনগণ ব্যর্থ হবে না। কারণ, এদেশের মানুষ দেশপ্রেমিক, গণতন্ত্রপ্রিয়। মওদুদ আহমদ বলেন, জনগণকে আমরা আশ্বস্ত করতে পারি- এবার আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকব। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ থেকে বাড়িতে ফিরে যাব না।
আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন এক বাক্যে এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষ চায় সরকার পতনের জন্য বিরোধীদল আন্দোলন করুক।
রাজনৈতিক আন্দোলন শিল্পের মতো মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপনাদের বোঝা দরকার, কখন কোথায়-কীভাবে আন্দোলন শুরু করবেন। যারা আন্দোলন গড়ে তুলবেন, তাদের সামগ্রিক বিষয়টা বুঝতে হবে। তা না হলে হবে না। যারা ক্ষমতায় আছেন তারা কিন্তু বিষয়টা বোঝে।
সরকারের উদ্দেশে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিজিবি মহাপরিচালক বলেছেন- ওরা সবাই বাংলাদেশী, উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। যেহেতু এখন স্বীকার করেছেন, ওখান থেকে ওরা আসছে। আমি জানতে চাই মোট কতজন বাংলাদেশে ঢুকেছে? এরা কবে ভারতে গিয়েছিল, এখন ঢুকল কেন? তারা এখন কোথায় আছে?
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক, তাঁতী দলের যুগ্ম আহবায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।