Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিহারে তরুণ খুনে ‘হিন্দু সংগঠনের’ দুই সদস্য আটক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম


সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলেছিল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। ৩১ ডিসেম্বর আরজেডির হয়ে সিএএ-এর প্রতিবাদে পাটনায় খুন হয় আঠেরো বছর বয়সি আমির হাঞ্জলা। সেই খুনের তদন্তে ধৃত ৬ জনের মধ্যে দু’জন হিন্দু সংগঠন শাখার সঙ্গে যুক্ত, এমনটাই জানিয়েছে বিহার পুলিশ। ফুলওয়ারি শরিফ এলাকার চর্মশিল্প কারখানায় কর্মরত আমির হাঞ্জলাকে খুনের ঘটনায় ধৃত দুই ব্যক্তিরা হলেন নাগেশ সম্রাট (২৩) যিনি হিন্দু পুত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এবং হিন্দু সমাজ সংগঠনের বিকাশ কুমার (২১)।

ফুলওয়ারি শরিফ থানার অফিসার ইন চার্জ রফিকুর রহমান দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, “আমাদের তদন্ত বলছে ওই মিছিলকে যখন ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ। সেই সময় আমির হাঞ্জলা ওই মিছিল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এরপর সঙ্গত গলিতে বেশ কয়েকজন তাঁকে আটক করে। ময়নারতদন্তের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে আমিরকে ইট এবং কিছু ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মাথায় ও দেহে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের জন্য প্রচুর রক্ত পেটের জমা হয়ে গিয়েছিল।” ছেলের খুনে মুহ্যমান বাবা সোহেল আহমেদ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, “এই প্রথম আমার ছেলে কোনও প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিল। এটাই কী তার দোষ? ওঁর হাতে ধরা ছিল তেরঙ্গা পতাকা। উল্লেখ্য, সোহেল আহমেদ নিজে তাবলিগ জামায়াত সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। মে মাসেই বিহার পুলিশের তরফে হিন্দু পুত্র সংগঠন-সহ আরও ১৯টি সংগঠনের দলীয় অফিসের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। আমির হাঞ্জলা খুনের ঘটনায় বাকিরা হলেন পুলিশের খাতায় নাম তোলা দাগি অপরাধী দীপক মাহাতো, ছোটু মাহাতো, সঞ্জয় মাহাতো এবং রইস পাসওয়ান। পুলিশ জানিয়েছে দীপক, ছোটু, সনোজকে জেরা করেই আমির হাঞ্জলার দেহের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তবে এই খুনে সম্রাট এবং কুমারের কী ভূমিকা ছিল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, আরজেডির মিছিলের দিন ফেসবুকে একটি লাইভ ভিডিও করেন তারা। সেই ভিডিওটিতে পুলিশরা হিন্দুদের অত্যাচার করছে তাই ফুলওয়ারি শরিফে সব হিন্দুদের একত্রিত হতে আহ্বানও জানান কুমার। অপর একটি ভিডিওতে সম্রাটকে বলতে শোনা যায় যে তিনি ‘হিন্দু সন্তান’ এবং তিনি ফুলওয়ারিতে পৌঁছে গিয়েছেন। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিহার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ