মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কর্নাটকের সভা থেকে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পথে নামা দল ও সংগঠন এবং পাকিস্তানকে এক মেরুতে এনে কটাক্ষ করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবিরকে তার পরামর্শ ছিল, ‘আন্দোলন করতে হলে, পাকিস্তানে ধর্মের ভিত্তিতে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে করুন।’ এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই প্রধানমন্ত্রীকে পালটা জবাব দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তরবঙ্গে সিএএ বিরোধী প্রথম সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। শিলিগুড়িতে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মিছিল শুরুর আগে ক্ষুদিরাম মূর্তির সামনে সভা থেকে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বিরোধীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ‘পাকিস্তানকে প্রশ্ন করুন’ মন্তব্যের জবাব দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, ‘অধিকারের কথা বললে পাকিস্তানে যাও। খাবার চাইলে পাকিস্তানে যাও। চাকরি চাইলে পাকিস্তানে যাও। বাংলাদেশ, নেপালের কথা তো আপনি বলেন না। আপনি কি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত? রোজ পাকিস্তান পাকিস্তান করেন। পাকিস্তানের সঙ্গে এদেশের তুলনা করছেন, আপনার লজ্জা করে না?’ তৃণমূল নেত্রী সাফ জানিয়ে দেন, ‘আমরা হিন্দুস্তানকে ভালোবাসি। হিন্দুস্তান নিয়ে আলোচনা করতে চাই। ঐক্যবদ্ধ হিন্দুস্তান দেখতে চাই।’
শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়ি থেকে বাঘাযতীন পার্ক পর্যন্ত মিছিলের আগে সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে এদেশের তুলনা করছেন! আপনার লজ্জা করে না?’
উত্তরবঙ্গে সিএএ-এনআরসি বিরোধী প্রথম সভা থেকে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ফের সরব হন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, ‘নাগরিকত্ব আইন সভ্যতার, সমাজের লজ্জা। মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আমরা সবাই নাগরিক। মনে রাখবেন, এ রাজ্যে সিএএ, এনপিআর হতে দেব না। এ রাজ্য থেকে কাউকে কোথাও যেতে হবে না। গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ আর কর্নাটকে শুধু ওদের (বিজেপি) সরকার রয়েছে। বাকি গোটা দেশে বিরোধীদের সরকার।’
শিলিগুড়ির সভা থেকে দেশের ভারতের রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজকে রাস্তায় নেমে শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ করতে আহ্বান করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। স্লোগান তোলেন, ‘এই বিজেপি চাই না। বিজেপি-কে বাদ দাও।’ সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।