২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য শব্দ চোখ। চোখ নিয়ে ভাবুকের অন্ত নেই। কি লেখক, কি গবেষক, কি কবি, কি গীতিকার, এমনকি শিল্পীও তার কণ্ঠে তুলে এনেছেন এক অপূর্ব শৈল্পিকতার স্পর্শ। পড়ে না চোখের পলক, চোখের জ্বলে আমি ভেসে চলেছি, চোখ যে মনের কথা বলে নতুবা পাখির নীড়ের মতো ওই দুটি চোখ। কেউবা চোখকে ভেবেছেন ডাগর ডাগর, কেউ কাজল কালো, কেউ ভোমরার মতো ওই দুটি, আবার কেউবা এঁকেছেন স্বপ্নিল ছন্দে। ‹চোখ যে মনের কথা বলে...› গানটি যখন মৃদু হাওয়ায় ভেসে আসে, তখন স্বপ্নেরা তাড়িত হয় মনেরও গহিনে। এ মনের গহিনে যে চোখটি থাকে, তার মধ্যেই থাকে সত্যিকারের আলো। যার চোখ নেই, সে-ই বোঝে চোখের কদর। সোনা, হীরা, রুপার চেয়ে অন্ধজনের কাছে চোখ এক মহামূল্যবান অঙ্গ। এ চোখের মাধ্যমেই প্রতিফলিত হয় ব্যক্তিত্ব, মনের যন্ত্রণা, দুঃখ, কষ্ট। মানব সমাজে চোখ হারানোর অনেক কারণ রয়েছে। কেউ জন্মগত অন্ধ, কেউ অসুস্থতাজনিত কারণে চোখ হারায়, কেউবা আঘাত-দুর্ঘটনা, আবার কেউবা মানব সভ্যতার অমানবিক হিংস্রতার কারণেও চোখ হারায়। চোখ হারানো বা অন্ধজন ব্যক্তির কত যে দুঃখ-কষ্ট থাকে, তা কেবল ভুক্তভোগী ব্যক্তিই অনুধাবন করেন। এত দুঃখ-কষ্টের মধ্যেও জীবন থেমে থাকে না। কেউ চায় শুধু চশমা নয়, চোখটা কৃত্রিমভাবে প্রতিস্থাপিত করতে। কিন্তু কীভাবে? বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশে চোখের প্রতিস্থাপন একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। আর দরিদ্র হলে তো কল্পনাই করা যায় না।
তবু একেবারে নষ্ট হয়ে যাওয়া চোখের রোগীরা আসেন কৃত্রিম চোখ প্রতিস্থাপন করতে। যারা আসেন, তাদের অনেকেরই অসুখের কারণে চোখ নষ্ট হয়েছে কারও কারও ভুল চিকিৎসা বা আঘাতের কারণে। একজন রোগীর চোখের অবস্থা দেখে কৃত্রিম চোখ প্রতিস্থাপন করতে হয়, যা দেখতে হুবহু আসল চোখের মতোই এবং যাতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আজকাল বাজারে এক ধরনের কৃত্রিম চোখ কিনতে পাওয়া যায়, যা উন্নত ও নিখুঁত নয়। কৃত্রিম চোখ প্রতিস্থাপন করতে হলে মনে রাখতে হবে, তা যেন আন্তর্জাতিক মানের হয়। আমাদের পাশের দেশ থাইল্যান্ডে উন্নত মানের কৃত্রিম চোখ তৈরি হয়।
চোখ প্রতিস্থাপন করা সহজ পদ্ধতি নয়। কেবল প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরাই এ প্রতিস্থাপন করতে পারেন। চোখের ছানি, মনির রঙ, চেহারা, কম ও বেশি বয়সীদের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে চোখ প্রতিস্থাপন করা জরুরি। কেননা শিশুদের জৈবিক বৃদ্ধিজনিত কারণে চোখের গোলক বড় হয়ে নড়ে যেতে পারে। শুধু চোখই নয়, আজকাল কৃত্রিম নাক, কান ও হাতের আঙুলও কৃত্রিমভাবে প্রতিস্থাপিত হচ্ছে যা দুর্ঘটনায় হারানো মানুষের অঙ্গ প্রস্ফুটিত করছে। আপনার চোখ থাকুক নিরাপদে, চোখের আলো প্রসারিত হোক দিগন্তজুড়ে।
কৃত্রিম চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও বিভাগীয় প্রধান
ইউনিভার্সিটি ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।
কৃত্তিম চক্ষু প্রতিস্থাপন কেন্দ্র ও প্রস্থো ডেন্টাল
ফ্লাট বি-৪,বাসা-৪৩, রোড- ২৭ ধানমন্ডি,ঢাকা।
সেল-০১৭১৪৪৫২২১৯।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।