গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে নিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের নিজস্ব ভেরিফাইড ফেইসবুক প্রোফাইল থেকে দেয়া স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে তিনি এ স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাস দেয়ার পর থেকে কমেন্টে ও বিভিন্ন গ্রুপে বিষয়টি নিয়ে নাজমুলের তিব্র সমালোচনার পাশাপাশি নিন্দা জানাচ্ছে নেটিজেনরা।
স্ট্যাটাসে সিদ্দিকী নাজমুল আলমের লিখেন, ‘‘আসল ঘটনা হলো এইটা ::: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের সাথে দেখা করেছেন উগ্রবাদী ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। সূত্র বলছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করেন প্রয়াত সাদেক পুত্র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। পরবর্তীতে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার-এ বৈঠককালে তার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন শিবির সভাপতি ও সেক্রেটারি জেনারেল সালাহউদ্দিন আইউবীসহ আরো অনেক নেতাকর্মী। জানা যায়, বিএনপি থেকে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের মনোনয়ন প্রাপ্তিতে শিবির নেতাদের বেশ উচ্ছ্বাসিত দেখাচ্ছিল (মনে হয় দেহে প্রাণ ফিরে পেয়েছে)। সাক্ষাতের সময় শিবির সভাপতি ইশরাককে নিজেদের সমর্থনকারী দলীয় প্রার্থী হিসেবেই নেতাকর্মীদের মাঝে পরিচয় করিয়ে দেন। শিবির সভাপতি সিরাজুল বলেন,‘ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক আমাদের সংগঠনের দীনি ভাই। ইশরাক ভাই ইতোপূর্বে সংগঠনের অনেক ইউনিটের গোপনীয়তার সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন যা অনেকের অজানা। তাই সিটি নির্বাচন নিয়ে শিবির নেতাকর্মীদের তার পাশে থাকার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’ ইঞ্জিনিয়ার ইশরাকের মনোনয়ন প্রসঙ্গে জামায়াত থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক শিবিরের দায়িত্বশীল নেতা ছিলো বলেই আমি জানি। শিবিরের অনেক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে আমি ইশরাক হোসেনকে উপস্থিত দেখেছি। ছাত্রশিবিরের সাবেক এই সভাপতি আরো বলেন, আমি ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে ছোট থেকেই ব্যক্তিগতভাবে চিনি। সে স্কলাস্টিকা স্কুলে পড়ার সময় থেকেই শিবিরের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো। সেখানে ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারে (যুক্তরাজ্য) চলে যায়। যুক্তরাজ্য থাকাকালে ইশরাক শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে। উচ্চতর ডিগ্রি শেষে বাংলাদেশে ফিরে শিবিরের পরামর্শেই বিএনপির রাজনীতির সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করে। শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নই হচ্ছে ইশরাকের মূল লক্ষ্য।’’
স্ট্যাটাসের কমেন্টে কাজী আবদুল্লাহ-আল মামুন লিখেন, ‘জোট সরকারের পক্ষ থেকে সাদেক হোসেন খোকার ছেলে প্রার্থী। এখন সে ব্যক্তিগতভাবে এই জোটের কোন দল থেকে উঠে এসেছে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।
তো ছাত্রদল থেকে আসলেই বা কি আপনারা চুমু খেতেন তাকে? খেতেন না, একই ভাবে না হলে অন্যভাবেই বিরোধিতা করতেন। আপনাদের কাজই বিরোধিতা, এবং তা মৃত্যু অব্দি করতে থাকুন।’
‘হা হা হাইস্যকর এইগুলা এখন আর পাবলিক খায় না পারলে নতুন ফর্মুলা বের করেন।’ - ফারুক হাসানের মন্তব্য।
স্ট্যাটাসকে মিথ্যা বলে দাবি করে এমডি এসি সাগর লিখেন, ‘একজন সাবেক কেন্দ্রীয় নেতার মুখে এমন মিথ্যাচার মানায় না। উগ্রপন্থী কারা জাতি জানে।’
‘ভাই, দাঁড়িওলা দেখলেই যদি শিবির মনে করেন, তাহলে দেশের বেশির ভাগ মানুষই তো শিবির। ’ - লিখেছেন মাহবুব আলম খান।
মকবুল হোসাইনের প্রশ্ন, ‘অপপ্রচার করে কি বিজয় আটকানো যাবে? তার জন্য হয় দিনের ভোট গভীর রাতে পুলিশের সহয়তা কাস্ট করতে হবে নতুবা কেন্দ্র দখল কিংবা লোক দেখানোর জন্য কেন্দ্রের দরজার সামনে লম্বা লাইন দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে। তবে আওয়ামীলীগ যা কিছুই করো জবাব আজ না হয় কাল দিতে হবে, ইনশাআল্লাহ্।’
অধিকাংশ কমেন্টে ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতার সামালোচনা ও তার এই কথা মিথ্যা বলে দাবি করা হয়। অল্প কয়েকজন তাকে সমার্থন জানিয়ে কমেন্ট করেন। এর মধ্যে কাজী জুয়েল লিখেন, ‘সাহসী তথ্য, যা বর্তমান ক্ষমতার মসনদে বসে ও অনেকের অজানা... ধন্যবাদ সত্যগুলো প্রচার করেন।’
এমডি মোবারক হোসাইনের মন্তব্য, ‘এটা যদি সত্যি হয়, আর ওনি যদি নির্বাচিত হন। তাহলে সেটা ঢাকাবাসীর জন্য রহমত। কারণ তারা অন্তত দুর্নীতি করবেন না। এটা প্রমাণিত।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।