Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

দিনাজপুরের গিরিজা ক্যানেল দখলমুক্ত ও খনন শুরু

মাহফুজুল হক আনার : | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

 দিনাজপুরের হৃৎপিন্ড হিসাবে পরিচিত ঐতিহ্যবাহী ঘাঘরা ক্যানেল অবৈধ দখলমুক্ত ও খনন কাজ শুরু হয়েছে। শহরের পানি নিস্কাশনে একমাত্র অবলম্বন ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি ঘাঘরা ক্যানেল দখল হতে হতে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই শহরে পানিবদ্ধতাসহ বন্যার সময় পুরো শহর প্লাবিত হয়ে পড়ে। মহারাজাদের খনন করা পৌর শহরের চারপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ক্যানেলের বিভিন্ন জায়গায় দখলদাররা রীতিমত অট্টালিকা গড়ে তোলেন। সংকুচিত হয়ে যায় ক্যানেলটি। কিন্তু কোনভাবেই ক্যানেল দখলমুক্ত করা এবং খনন করে পানি প্রবাহ ঠিক রাখা সম্ভব হচ্ছিল না।

গত ২৩ ডিসেম্বর বর্তমান সরকারের দেশব্যাপী নদী-নালা দখলমুক্ত করার কর্মসূচীর অংশ হিসাবে ঐহিত্যবাহী দিনাজপুর ঘাঘরা ক্যানেলকেও দখলমুক্ত করার কাজ শুরু হয়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও বিপুল সংখ্যক আমর্ড পুলিশের উপস্থিতিতে বড় বড় স্কে-ভেটার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হচেছ অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভবন। শনিবার শহরের ল্যাব এইড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের একাংশ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এভাবে বড় বড় অনেক প্রতিষ্ঠানের অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়।

তৎকালিন মহারাজাদের সময়কালে শহরের পানি নিস্কাশনে শহরের চারপাশ দিয়ে এ খাল খনন করা হয়েছিল। রাজার নামানুসারেই নামকরণ করা হয়েছিল গিরিজা ক্যানেল। ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ঘাঘরা ক্যানেল মিলিত হয়েছে পূণর্ভবা নদীতে। শহরের পানি এ ক্যানেল দিয়ে পূণর্ভবা নদীতে চলে যেত। কিন্তু দীর্ঘ ২’শ বছরের বেশি সময় ধরে ক্যানেল পুরোপুরি খনন না করায় পলি পড়ে উঁচু হয়ে গেছে। অনেক স্থানে ক্যানেলের অস্তিত্ত্ব বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তদারকি না থাকায় ঘাঘরার দু-তীর ঘেঁষে দখলদাররা বাড়ি, দোকান, কারখানা ইত্যাদি গড়ে তুলেছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর সরকারের নদী-নালা দখলমুক্ত করার অভিযানের অংশ হিসাবে ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৮ কিলোমিটার খনন কার্যক্রম শুরু করা হয়। জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুল আলম খনন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা।

জেলা প্রশাসক জানান, খাল সংস্কারের জন্য ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। প্রথম পর্যায়ে শহরের পুলহাট বড়পুল অংশ থেকে উত্তরে মির্জাপুর বাস টার্মিনাল পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার এলাকায় দখলমুক্ত ও খননকাজ চালানো হবে। এ ৮ কিলোমিটারের মধ্যে ৫৫৭টি স্থানে ৬৩টি পাকা, ২৫৭টি সেমিপাকা এবং ২৪০টি কাঁচা স্থাপনা রয়েছে। দখলমুক্ত স্থানে প্রথমে গাছ লাগানো হবে। দখল ঠেকাতে পরবর্তীতে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহন করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খনন

১৮ এপ্রিল, ২০২২
৭ জানুয়ারি, ২০২১
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ